শিক্ষার্থী-পুলিশ সংঘর্ষ : সংবাদিকসহ আহত ১৫, আটক ১০
বরিশালে দফায় দফায় বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী-পুলিশ সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় দুই সাংবাদিকসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। নগরীর বেশ কয়েকটি পয়েন্টে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ বেপরোয়া লাঠিচার্জ করে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।
আজ বুধবার (৩১ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা নগরীর সদর রোডে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচির মিছিল বের করার চেষ্টা করলে বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিপেটা করে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। তখন শিক্ষার্থীরা ইট-পাটকেল ছুড়লে শুরু হয় সংঘর্ষ। ২৫-৩০ মিনিটি ধরে এখানে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া চলে। এ সময় কর্তব্যরত এনটিভির ক্যামেরা পার্সন শামিম আহম্মেদ, যমুনা টিভির ক্যামেরা পারসন মো. তুহিনকে বেধরক পেটান আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা। একপর্যায়ে সংঘর্ষ সদর রোড, ফকিরবাড়ি রোডসহ পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশি ধাওয়া এবং বেপরোয়া লাঠিপেটার মুখে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন অলি-গলিতে আশ্রয় নিলে পরিস্থিতি খানিকটা শান্ত হয়।
এদিকে শিক্ষার্থীদের আরেকটি অংশ পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ফজলুল হক এভিনিউ থেকে আদালত চত্বরের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। ছাত্র-ছাত্রীরা এ সময় ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান দিচ্ছিল। আন্দোলনকারীরা আদালত চত্বরে ঢুকতে গেলে বাধা দেয় পুলিশ। এখানেও পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বেশ কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। এ ছাড়া নগরের কাকলীর মোড়, বটতলা ও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এলাকাতেও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
বরিশালের পুলিশ কমিশনার জেহাদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছি। পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে এবং নগরীর শান্তিশৃখলা বজায় রয়েছে।’