মার্চ ফর জাস্টিস কর্মসূচি থেকে আটক ২৩, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচিতে অংশ নিতে আসা ২৩ শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। এর প্রতিবাদে আজ বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুর ২টা থেকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে।
নগরীর সাতরাস্তা মোড়, ময়লাপোতা, খানজাহান আলী রোডের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের এই সংঘর্ষ হয়।
এ সময় পুলিশ টিয়ার গ্যাসের শেল, রবার বুলেট নিক্ষেপ করে। তখন শিক্ষার্থীরাও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। দুই ঘণ্টাব্যাপী নগরীর বিভিন্ন স্থানে এ সংঘর্ষ হয়। এ সময় আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে থেকে ছাত্রলীগ মিছিল করে পিকচার প্যালেস মোড় এলাকায় মহড়া দেয়।
শিক্ষার্থীদের আটক এবং গতকাল রাতে কোটাবিরোধী ছাত্র নেতাদের বাস থেকে ডেকে এনে সার্কিট হাউসে কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিতে বাধ্য করায় অন্যদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আজ দুপুর ১টার দিকে ময়লাপোতা মোড়ে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ আহসানুল্লাহ কলেজে আশ্রয় নেয়। তারা ভবনের ভেতর একটি কক্ষে প্রবেশ করে তালা লাগিয়ে দেয়। পরে তালা ভেঙে শিক্ষার্থীদর আটক করে পুলিশ।
আন্দোলনকারীরা জানায়, সারা দেশে নিহত ছাত্রদের হত্যার বিচারের দাবিতে আজ বুধবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মার্চ ফর জাস্টিস কর্মসূচি ছিল। খুলনায় সংগঠনটির পক্ষ থেকে বেলা ১১টায় রয়েল মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু সকাল থেকে নগরীর রয়েল মোড়ে বিপুল পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
দুপুর ১২টা থেকে শিক্ষার্থীরা রয়েল মোড়ের আশপাশে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের মোবাইল ফোন চেক করতে দেখা যায় পুলিশকে।
এদিকে শিক্ষার্থীদের হয়রানি ও আন্দোলনকে কেন্দ্র করে নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের হয়রানি না করতে আহ্বান জানিয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) প্রশাসন।
আজ ৩১ জুলাই (বুধবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা ও আইনশৃঙ্খলা বিনষ্টকারী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগে বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নানা সংবাদ গণমাধ্যমে পরিলক্ষিত হচ্ছে। এ প্রক্রিয়ায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো নিরপরাধ শিক্ষার্থী যাতে হয়রানির শিকার না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আহ্বান জানাচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, খুবির কোনো শিক্ষার্থী হয়রানির শিকার হলে তাকে ছাত্রবিষয়ক পরিচালকের দপ্তরকে অবহিত করার নির্দেশনা দেওয়া হলো। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্ভাব্য সব সহযোগিতা করা হবে। খুবি প্রশাসন শিক্ষার্থীদের সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনা করছে।