মুহুরী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে তিন স্থানে ভাঙন, ১০ গ্রাম প্লাবিত
দুই দিনের ভারি বৃষ্টি ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি বেড়ে ফেনীর মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ২৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি তোড়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের তিন স্থানে ভেঙে অন্তত ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পরশুরামের শালধর এলাকায় মুহুরী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকতে শুরু করে। বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার বক্সমাহমুদ ইউনিয়নের টেটেশ্বর এলাকায় কহুয়া নদীর বাঁধের একটি অংশে ভাঙন দেখা দেয়। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মির্জানগর ইউনিয়নের পশ্চিম মির্জানগরের বেড়িবাঁধ ভেঙে পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হয়।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ রাশেদ শাহারিয়ার বলেন, টানা দুই দিনের ভারি বর্ষণ ও উজানের ঢলে মুহুরী ও কহুয়া নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ২৪০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পরশুরামের শালধরে বেড়িবাঁধ ভেঙে নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করে। বিকেল ৪টার দিকে কহুয়া নদীর পানি বেড়ে টেটেশ্বরে আরেক স্থানে বাঁধ ভেঙে যায়। ইতোমধ্যে সাতকুচিয়া, বাঘমারা, টেটেশ্বর ও চাড়িগ্রাম প্লাবিত হওয়ায় অন্তত ৩৬৫ পরিবার পানিবন্দি হয়ে আছে।
পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা হাবিব শাপলা জানান, টানা বর্ষণে পরশুরাম উপজেলায় মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত তিনটি ইউনিয়নে বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে।