সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় হামলা, ১৩ পুলিশ নিহত
ডিগ্রি কলেজ ও খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতা আজ রোববার (৪ আগস্ট) সকালে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার এনায়েতপুরের বিভিন্ন রাস্তায় মিছিল করে। পুলিশ আন্দোলনকারীদের হটাতে টিয়ার সেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে ছত্রভঙ্গের চেষ্টা করে। এ সময় এনায়েতপুর থানায় হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সেখানে ১৩ পুলিশ নিহত হয়েছেন। যদিও সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) হান্নান মিয়ার দাবি, এনায়েতপুর থানা থেকে ১২ পুলিশ সদস্যের মরদেহ উদ্ধার, সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
জানা গেছে, ১৩ পুলিশ ছাড়াও জেলার রায়গঞ্জ উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক লীগনেতা, ইউপি চেয়ারম্যানসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ও কয়েকটি মোটরসাইকেলে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক মানুষ।
সংঘর্ষে চারজনের মৃত্যুর তথ্য আজ বেলা সাড়ে ৩টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আমিমুল ইহসান। আমিমুল ইহসান বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় আওয়ামী লীগের ১৫থেকে ২০ জন নেতাকর্মীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারজন মারা গেছেন। মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আল আমিন সরকারের মরদেহ পরিবারের লোকজন নিয়ে গেছেন। অন্য তিনজন হলেন—উপজেলার ব্রহ্মগাছা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম ছরওয়ার, আলম ও প্রদীপ কুমার।
এরপর আরও দুজনের তথ্য পাওয়া গেলেও নামপরিচয় জানা যায়নি। আর রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি কার্যালায় নিশ্চিত করেছে, সেখানে এনায়পুর থানায় হামলার ঘটনায় ১৩ পুলিশ নিহত হয়েছেন। যদিও সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) হান্নান মিয়া এনটিভি অনলাইনকে বলেন, এনায়েতপুর থানায় আগুনের ঘটনা ঘটেছে। তবে, সেখানে কতজন মারা গেছে, সেই তথ্য আমরা এখনও নিশ্চিত না। খবর নিচ্ছি। কিছুক্ষণের মধ্যে আমরা নিশ্চিত করতে পারব।