সাভারে ফিরছে থানার লুণ্ঠিত অস্ত্র, জমা পড়ছে গুলিসহ মালামাল
সাভার মডেল থানা থেকে যে অস্ত্র ও গুলি লুট হয়েছিল তা ফেরত দিতে শুরু করেছেন স্থানীয়রা। গণমাধ্যমকর্মীদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে দিনভর নানা ব্যক্তি সেনাবাহিনীর কাছে লুণ্ঠিত অস্ত্র ও গুলি জমা দেন। তাদের পরিচয় গোপন রাখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন সেনা কর্মকর্তারা।
সাভার মডেল থানায় আজ রোববার (১১ আগস্ট) দুপুরে সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট মো. রুবেল হোসেনের কাছে জমা পড়ে তিনটি শট গান, একটি ওয়ান শুট্যার গান, একটি পিস্তলের ম্যাগাজিন, ৩৭০ রাউন্ড পিস্তলের গুলি ও ২৪০ রাউন্ড রাবার বুলেট।
হস্তান্তর অনুষ্ঠানের প্রত্যক্ষদর্শী গণমাধ্যমকর্মী দিদারুল ইসলাম জানান, আমি ফেসবুকে এ বিষয়ে জনসচেতনতামূলক একটি পোস্ট দেওয়ার পর অনেকেই আমার সাথে যোগাযোগ করেন। পরিচয় গোপন রাখার শর্তে আমাকে অনেকেই এসব অস্ত্র ও গুলি জমা দেন। সেটা আমি সেনাবাহিনীকে বুঝিয়ে দিই। লুণ্ঠিত স্টিলের আলমারি, ফ্রিজ, এসি জমা দেওয়ার জন্যে দুজন ফোন করেছিলেন। সেটা আমার কাছে আসা মাত্রই আমি সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করবো।
ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান জানান, নিঃসন্দেহে এটা ভালো উদ্যোগ। কারণ পুলিশের খোয়া যাওয়া এসব অস্ত্র যে কোন ধরনের অপরাধজনক কাজে ব্যবহৃত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। আমরা আহ্বান জানাচ্ছি, যার কাছে থানার লুণ্ঠিত যা কিছু আছে তা নির্ভয়ে জমা দিন। জননিরাপত্তার স্বার্থেই লুণ্ঠিত অস্ত্রগুলো জমা দেওয়া প্রয়োজন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকা জেলার সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাইয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও প্রাণহানি হয়। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর পর থানা তিনটিতে হামলা ভাঙচুর, অস্ত্র ও গুলি লুট এবং অগ্নিসংযোগের কারণে বন্ধ হয়ে যায় পুলিশি কার্যক্রম।
পুলিশ সুপার আরও জানান, সোমবারের মধ্যেই সাভার মডেল থানার কার্যক্রম শুরু করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। থানা পুড়িয়ে দেয়ায় আপাতত জেলা উত্তর গোয়েন্দা কার্যালয়ে অস্থায়ী ভিত্তিতে শুরু হবে।