যুবলীগ-ছাত্রলীগের ৭ নেতাকর্মী হত্যায় পুলিশের মামলা
লক্ষ্মীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার গণপিটুনিতে যুবলীগ-ছাত্রলীগের সাত নেতাকর্মী নিহতের ঘটনায় মামলা করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিন ফারুক মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল বুধবার (১৪ আগস্ট) রাতে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এমদাদ হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে মামলাটি করেন।
বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে নিহত যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হলেন ইউপি সদস্য যুবলীগনেতা হারুনুর রশিদ, ছাত্রলীগনেতা তাওহিদ কবির রাফি, রাকিবুল হাসান সিফাত, ইউছুফ, যুবলীগনেতা আহমেদ শরীফ, তানজীদ হায়দার রিয়াজ ও সুজন।
সদর মডেল থানার বলেন, গত ৪ আগস্ট আন্দোলনকারীদের ওপর অতর্কিত হামলা ও নির্বিচারে গুলি চালানোর পর বিক্ষুব্ধ জনতার গণপিটুনিতে সাতজন নিহত হয়। তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ মামলা করেনি। তাই পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা করে।
গত ৪ আগস্ট শহরের মাদাম ব্রিজ ও ঝুমুর এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ছাত্র-জনতার ওপর হামলা করে। সেখানে অভিযুক্তদের ছোড়া গুলিবিদ্ধ হয়ে আফনান পাটওয়ারী নামে এক শিক্ষার্থী মারা যায়। এরপর আন্দোলনকারীরা বাজারের তমিজ মার্কেট এলাকায় এলে সাবেক পৌর মেয়র প্রয়াত আবু তাহেরের বাসার ছাদ থেকে চেয়ারম্যান টিপুর নেতৃত্বে প্রায় আড়াই ঘণ্টাব্যাপী গুলি করা হয় বলে জানায় স্থানীয়রা (যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়)। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে কাউছার আহমেদ বিজয়, ওসমান গনি ও সাব্বির আহমেদ নামে আরও তিনজন মারা যায়। এ সময় শতাধিক ছাত্র-জনতা গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা মেয়র তাহের ও টিপুর বাসভবন আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। তখন টিপুসহ তাঁর সঙ্গে থাকা কয়েকজন পালিয়ে যায়। বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে গণপিটুনিতে ছাত্রলীগ-যুবলীগের সাতজন মারা যায়। পরের দিন টিপুর বাসভবন থেকে যুবকের অগ্নিদগ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।