দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক এস এম মামুনুর রশিদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। আজ সোমবার (১৯ আগস্ট) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮-এর বিচারক শওকত আলীর আদালতে এ মামলা করা হয়।
বাদী পক্ষের আইনজীবী মাহবুব হাসান রানা এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আদালত বাদীর জবানবন্দি নিয়ে রাজধানীর দারুসসালাম থানাকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।’
আরজি থেকে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তেরে মধ্যে দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক ছিল। অভিযুক্ত মামুনুর রশীদ বাদীকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তিনি রাজি হন। তবে মামুনুর রশীদ শর্ত আরোপ করেন চাকরিতে বিয়ের পারমিশন না হওয়া পর্যন্ত তাকে বাড়িতে তুলতে পারবে না। গত বছরের ১৬ জুলাই বিকেল ৫টার দিকে দুজনের উপস্থিতিতে একটি কাবিননামার নীল কাগজে সাভার স্মৃতিসৌধে বসে স্বাক্ষর করেন মামুনুর। বলেন তাদের বিয়ে হয়ে গেছে। কাবিনের অন্যান্য কাজ তিনি নিজে করবেন। ২১ জুলাই আশুলিয়ায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তারা একটি বাসাভাড়া করে একত্রে বসবাস শুরু করেন।
আরজি থেকে আরও জানা গেছে, এদিকে ভুক্তভোগী তার পরিবারের কাছে বিয়ের কথা জানিয়ে দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হন মামুনুর রশীদ। তার সঙ্গে সম্পর্ক রাখবে না বলে জানায়। পরে মামুনুর ২৯ জুলাই তাকে একা রেখে বাসা থেকে চলে যান। ৪ আগস্ট বাদীর পরিবারের সামনে ওই বাসায় গিয়ে জানিয়ে দেন, এতদিন সে বিয়ের মিথ্যা নাটক করে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করেছে। তার সঙ্গে সংসার করার ইচ্ছা নেই। এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে অন্তরঙ্গ ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেবে। প্রয়োজনে তাকে যেকোনো সময় গুম ও হত্যা করবে। এ নিয়ে বাদী ১২ সেপ্টেম্বর আদালতে একটি মামলা করেন। পরে তাদের মধ্যে আপস মীমাংসা হয়। সিদ্ধান্ত হয় বিয়ের। বাদী মামলাটি তুলে নেন। কোরবানির ঈদের পর বিবাহের দিন ধার্য করা হয়। গত ২ এপ্রিল এবং ৪ এপ্রিল তারা একত্রে বিয়ের জন্য মার্কেট করেন এবং একান্ত সময় কাটান। এ সময় বাদীকে ধর্ষণ করেন তিনি। গত ১৫ আগস্ট আসামি বাদীকে জানিয়ে দেন তাকে বিয়ে করা সম্ভব না। এতে বাদী নিরুপায় হয়ে আদালতে মামলা করেন।