১৩ বছর আগে জয়নুল আবদিনকে মারধরে পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা হারুন-বিপ্লবের বিরুদ্ধে মামলা
রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ ও ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমারের বিরুদ্ধে বিএনপিনেতা জয়নুল আবদিন ফারুকের হত্যাচেষ্টার মামলা করা হয়েছে। আজ সোমবার (১৯ আগস্ট) মামলা দায়েরের বিষয়টি থানা কমপ্লেক্সের সামনে তিনি সাংবাদিকদের জানান।
শেরে বাংলা থানাসূত্রে জানা গেছে, মামলা নম্বর ৮। মামলার বাদী তৎকালীন বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক। বর্তমানে তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা।
মামলায় আসামি করা হয়েছে, তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) বর্তমানে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ ও তৎকালীন সহকারী কমিশনার (এসি) ও বর্তমানে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ৬ জুলাই সকালে জয়নাল আবদিন ফারুকের নেতৃত্বে বিরোধী দলের ১৫ থেকে ২০ জন সংসদ সদস্য মানিক মিয়া এভিনিউয়ের সামনে জড়ো হন। ভোরে তারা হেঁটে সংসদ ভবন এলাকা থেকে ফার্মগেট এলাকায় পৌঁছান। পরে ফার্মগেট থেকে তারা আবার মানিক মিয়া এভিনিউয়ে ফিরে যান। এ সময় হঠাৎ করে একটি বাস লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়া হয়। পরে তৎকালীন পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) ইমাম হোসেন, সহকারী উপকমিশনার (এসি) হারুন অর রশিদ ও মোহাম্মদপুর অঞ্চলের সহকারী কমিশনার (এসি) বিপ্লব কুমার সরকার সংসদ সদস্যদের সামনে গিয়ে তাদের থামানোর চেষ্টা করেন।
এ সময় পুলিশের সঙ্গে বিএনপিনেতা জয়নাল আবদিন ফারুকের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায় পুলিশ জয়নাল আবদিন ফারুকের দিকে তেড়ে যায়। আরও কয়েকজন পুলিশ তার দিকে এগিয়ে গেলে ধস্তাধস্তি শুরু হয় এবং তিনি মাটিতে পড়ে যান। পুলিশের কয়েকজন সদস্য তাকে লাথি মারেন এবং তাকে ধরে টানা হ্যাচরা করতে থাকেন। এ সময় ফারুকের গেঞ্জি খুলে যায়। একপর্যায়ে একজন পুলিশ সদস্যের লাঠির আঘাতে তার মাথা ফেটে যায়।
ফারুকের মাথায় রক্ত দেখে নারী সংসদ সদস্যরা তাকে নিয়ে ন্যাম ভবনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশ আবার এগিয়ে এলে জয়নাল আবদিন আত্মরক্ষায় ন্যাম ভবনের দিকে দৌড় দেন। পুলিশ ও তার পিছু নিয়ে আবার সেখানে গিয়ে ওপর হামলা চালায়। পুলিশ জয়নাল আবদিন ফারুককে চ্যাংদোলা করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তিনি জ্ঞান হারিয়ে রাস্তায় পড়ে যান।
এরপরে ফারুককে উদ্ধার করে নারী এমপি পাপিয়া আশরাফিয়ার ন্যাম ভবনের বাসায় নিয়ে যান। এরপর কয়েক ঘণ্টা পর সকাল ১০টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে গুলশান ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়।