কাশিমপুর কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকালে গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি মো. হৃদয় ওরফে মানিককে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছেন র্যাব ৪-এর সদস্যরা।
আজ বুধবার তাঁকে মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর থানাধীন কাশিদারামপুর চর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব ৪-এর কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার মোহাম্মদ আরিফ হোসেন।
মানিক মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর থানার ব্রাহ্মন্দী এলাকার মেহের আলী শেখের ছেলে।
র্যাবের ওই কর্মকর্তা জানান, গত ৬ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মানিকসহ ২০৯ বন্দি পালিয়ে যায়। জেল থেকে পলায়নের পর সে দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ বুধবার সকালে তাকে মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর থানাধীন কাশিদারামপুর চর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে মানিকগঞ্জ সাটুরিয়া থানার চাঞ্চল্যকর ও বহুল আলোচিত আরিফ (২২) হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামি। তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব কর্মকর্তা আরও জানান, গত ২০২০ সালে কক্সবাজার ভ্রমণে গিয়ে একটি শ্বেতপাথর কুড়িয়ে পায় মানিক। পরবর্তী সময়ে সেটি এলাকায় এসে তার মামাতো ভাই আরিফকে জানায় ও দেখায়। ভিকটিম আরিফ লোভের বশবর্তী হয়ে মানিকের কাছ থেকে ওই শ্বেতপাথর নেওয়ার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ধানকাটার কথা বলে মানিককে সাটুরিয়া থানাধীন দিমুখা এলাকার একটি ধানের ক্ষেতে নিয়ে যায়। সেখানে ধান কাটার একপর্যায়ে ভিকটিম আরিফ কাচি দিয়ে হত্যার উদ্দেশে আসামি মানিককে আঘাত করে। এ সময় মানিক ওই কাচি ছিনিয়ে নিয়ে আরিফকে গলা কেটে হত্যা করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় সাটুরিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়। আদালত ওই মামলার রায়ে ২০২২ সালের ২৯ আগস্ট মানিককে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন।