সিরাজগঞ্জে চাঞ্চল্যকর দুই ভাই হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড
সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে চাঞ্চল্যকর দুই ভাই হত্যা মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে সবাইকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এম আলী আহমেদ এই রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার কোদালিয়া গ্রামের নাছির উদ্দিন, তার ভাই সহিদুল ইসলাম সাচ্চু ও একই গ্রামের ইসরাফিল।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের স্টেনোগ্রাফার রাশেদুল ইসলাম ও অতিরিক্ত পিপি জেবুন্নেছা এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, সিরাজগঞ্জের চৌহালীর কোদালিয়া গ্রামের ১৫ শতাংশ জমি নিয়ে আন্তাব আলীর (নিহতদের বাবা) সঙ্গে আসামি নাছিরের বিরোধ চলছিল। ঘটনার ২০ থেকে ২৫ দিন আগে আসামি সহিদুল ইসলাম সাচ্চা আন্তাব আলীর জমির ওপর দিয়ে তৈরি করা পানির ড্রেন কোদাল দিয়ে কেটে ফেলে। খবর পেয়ে আন্তাব আলী ও তার দুই ছেলে কাউছার ও মিল্টনকে সঙ্গে নিয়ে আসামি সহিদুল ইসলাম সাচ্ছাকে ড্রেন কাটার কারণ জিজ্ঞাসা করে। এ সময় তাদের মধ্যে তর্কবিতর্ক ও কথা কাটাকাটি হয়।
২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর চৌহালী উপজেলার পূর্ব কোদালিয়া গ্রামে মামার বাড়িতে বেড়াতে যায় কাওছার আলী। এসময় আসামিরা কাউছার আলীকে দেখে তার ওপর হামলা চালালে সে দৌড়ে তার মামার একটি ঘরে আশ্রয় নেয়। ঘটনাটি কাওছার তার ছোটভাই মিল্টনকে ফোনে জানালে সে তার বাবা-মা সহ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। এসময় আসামিরা মিল্টনকে মারধর করলে কাওছার ঘড় থেকে বের হয়ে আসেন। তাকেও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তাদের অবস্থার অবনতি হলে দুজনকেই ঢাকায় নেওয়ার পথে কাওসারের মৃত্যু হয়। ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরের দিন মিল্টনও মারা যায়। এ ঘটনায় নিহতদের মা হায়াতুননেছা বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। মামলা চলাকালে ১৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আদালতের বিচারক আজ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন।