স্বৈরাচারের দোসরদের যড়যন্ত্রের বিষয়ে সতর্ক থাকুন : তারেক রহমান
স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও তাদের দোসরদের নানামুখী যড়যন্ত্র থেকে জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) টাঙ্গাইলের গোপালপুরে উপজেলা বিএনপি আয়োজিত জনসভায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এই আহ্বান জানান তিনি।
এসময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন, চক্রান্ত হলে দাঁত ভাঙা জবাব দিতে হবে। আগামীতে বিএনপি দেশে উৎপাদন ও উন্নয়নের রাজনীতি চালু করতে চায় বিএনপি। একমাত্র রাজনৈতিক সরকারের পক্ষেই জনগণের সব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। সেজন্য প্রয়োজন জনগণের সমর্থন। দেশের জনগণের সমর্থনে আমরা সে দায়িত্ব পালনের সুযোগ পেলে সেদিনও আপনাদের সমস্যার কথা আমার মনে থাকবে।
টাঙ্গাইলের গোপালপুরে সাবেক মন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর মুক্তির দাবিতে বিকেলে এই জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সভাপতিত্ব করেন গোপালপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার জাহাঙ্গীর আলম। এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় ভাইস-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান ও প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।
প্রায় ১৭ বছর পর গোপালপুরের এই জনসভায় উপস্থিত মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু ছিল শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানের বক্তব্য। লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হলে হাজার হাজার জনতা তাঁকে অভিবাদন জানান।
প্রায় ৩৫ মিনিটের বক্তব্যে বেশীরভাগজুড়ে তারেক রহমান টাঙ্গাইল জেলার বিখ্যাত নানা পণ্যের সম্ভাবনা নিয়ে নিজের পরিকল্পনার কথা জানান। তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক মুক্তি হলে দেশ এগিয়ে যাবে।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘পৃথিবীর মানুষ জানে টাঙ্গাইল পৃথিবীর কোথায় অবস্থিত। তবে আমাদের গুণগত মান বাড়াতে হবে, ডিজাইনে আনতে হবে বৈচিত্র্য আর সুতি, সিল্ক ও সুতি সিল্কের সংমিশ্রণেও নতুন নতুন ডিজাইনের শাড়ি তৈরী করতে হবে। শাড়ি আমাদের মা-বোনের হাজার হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী পোশাক। একদিন আসবে আমরা বিদেশ থেকে শাড়ি আনবো না বরং পৃথিবীর যে সব দেশে মহিলারা শাড়ি পরেন, আর যেখানে বাংলাদেশিরা আছেন সেখানেও অদূর ভবিষতে শাড়ির একটাই নাম থাকবে টাঙ্গাইল শাড়ি।’
এছাড়া তারেক রহমান বলেন, ভূমিহীন মানুষের সংখ্যাও এখানে অনেক বেশি। এসব দিকে নজর দিতে হবে। আর সবার আরেকটি বড় সমস্যা হলো যমুনা নদীর ভাঙন, বিশেষ করে ভূয়াপুর উপজেলায়। এ ব্যাপারে অনেক বাস্তবমুখি আর স্থায়ী পরিকল্পনার কথা ভাবতে হবে।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের পর এই প্রথম টাঙ্গাইলে বিএনপির এমন জনসভা। এতে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে গোপালপুরের সুতি ভিএম হাইস্কুল মাঠের সমাবেশে যোগ দেন বিএনপির নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। স্লোগানে মুক্তির দাবি জানান তাদের প্রিয় নেতা আবদুস সালাম পিন্টুর।