আশুলিয়ায় খোলেনি ২৬ পোশাক কারখানা, সমাধানের চেষ্টায় রাজনৈতিক নেতারা
নজিরবিহীন নিরাপত্তা সত্ত্বেও শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় আজ রোববারও (২২ সেপ্টেম্বর) খোলেনি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ২৬টি তৈরি পোশাক কারখানা। গতকাল ২২টি বন্ধ থাকলেও তার সঙ্গে আজ আরও চারটি নতুন করে যোগ হয়। এতে উদ্বেগ বেড়েছে তৈরি পোশাক খাত সংশ্লিষ্টদের।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিল্প পুলিশ আশুলিয়া জোনের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারওয়ার আলম।
এদিকে, শিল্পাঞ্চলে অস্থিরতা কমিয়ে আনতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতার পাশাপাশি সম্পৃক্ত করা হয়েছে রাজনৈতিক নেতাদের। শ্রমিক ও শিল্প রক্ষায় শ্রমিকদের সচেতন করতে বিভিন্ন কারখানায় শ্রমিক সমাবেশ করছেন বিএনপি নেতারা।
আজ রোববার সকালে সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহপরিবার কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ডা. দেওয়ান মো. সালাউদ্দিন বাবুর নেতৃত্বে দলের ঊর্ধ্বতন নেতারা বিভিন্ন কারখানা ঘুরে কথা বলেন শ্রমিকদের সঙ্গে, শোনেন তাদের নানা অভিযোগ। মালিকপক্ষের সঙ্গে বসে মীমাংসার মাধ্যমে সমঝোতার কথা বলেন তারা।
অবশ্য চলমান সংকটের আগে থেকেই নানা কারণে বন্ধ ছিল ১৬০টি কারখানা। দি রোজ গার্মেন্টস, ইউকোরিয়া অ্যাপারেলস, জেবারেস নেক্সট, সিন সিন অ্যাপারেল, টেক্সট ম্যাক্স, মেহনাজ স্টাইল ও রেডিয়ান্সসহ ২৬টি অনির্দিষ্টকাল বন্ধ থাকা কারখানা মিলিয়ে মোট ১৮৬টি শিল্প কারখানা বন্ধ রয়েছে।
এসব কারখানা কবে খুলবে তা-ও নিশ্চিত করে বলতে পারেনি কেউ। শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারায় বন্ধ থাকায় এসব কারখানার শ্রমিকরা কোনো বেতন-ভাতা পাবেন না। কারখানা বন্ধ থাকায় বেকার হয়ে পড়েছেন অনেক শ্রমিক।
এদিকে বন্ধ কারখানাগুলো নিয়েই নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে অন্যান্য কারখানা। গত ১৭ সেপ্টেম্বর আশুলিয়ার জিরাবো এলাকায় মাসকট গার্মেন্টসের মূল ফটকে কারখানা বন্ধের নোটিশ নিয়ে উত্তেজনার রেশ ধরে সংঘর্ষে মারা যান কারখানার সহকারী সেলাই মেশিন অপারেটর রোকেয়া বেগম।
এর আগে পরিস্থিতির উন্নতি সাপেক্ষে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ কারখানাগুলো শনিবার খুলে দেওয়ারর কথা জানিয়েছিলেন তৈরি পোশাক কারখানার মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম। তা সত্ত্বেও নিরাপত্তাজনিত কারণসহ বিভিন্ন অজুহাতে বন্ধ রাখা হয়েছে কারখানাগুলো।
শিল্প পুলিশ বলছে, বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা নিয়ে মাঠে রয়েছেন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা। যেকোনো ধরনের সহিংসতা এড়াতে শিল্পাঞ্চল ঘিরে রয়েছে যৌথবাহিনীর সমন্বয়ে পুলিশ, আর্ম পুলিশ, শিল্প পুলিশ, বিজিবি ও সেনা সদস্যদের তৎপরতা।