সীমান্ত খোকনকে অশ্রুসিক্ত বিদায় জানাল এনটিভি পরিবার
পৃথিবীর মায়া ছেড়ে পরপারে চলে গেছেন গতকালই। আজ বিদায় নিলেন এনটিভি পরিবার থেকে। চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন কিশোরগঞ্জের পারিবারিক কবরস্থানে। এনটিভির বার্তা সম্পাদক সীমান্ত খোকনকে বিদায় জানাতে অশ্রুসজল হয়ে পড়ে পুরো এনটিভি পরিবার। আর ফিরবেন না চিরচেনা কর্মচঞ্চল এনটিভিতে, সংবাদের মুখরতায়।
সীমান্ত খোকনের প্রথম জানাজা আজ বুধবার (২ অক্টোবর) বাদ জোহর জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়। রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জানাজায় প্রেসক্লাবের সদস্য, তাঁর শুভানুধ্যায়ী, বর্তমান ও সাবেক সহকর্মী এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের দুই অংশের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। প্রেসক্লাবে জানাজা শেষে তাঁকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের এনটিভি কার্যালয়ের সামনে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় অংশ নেন এনটিভির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশফাক উদ্দিন আহমেদ, পরিচালক নুরুদ্দীন আহমেদসহ এনটিভির সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারিবৃন্দ।
এসময় শোক প্রকাশ করে এনটিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশফাক উদ্দিন আহমেদ বলেন, এনটিভির বার্তা সম্পাদক সীমান্ত খোকনের অকালমৃত্যু মেনে নেওয়া কঠিন। আমরা পুরো এনটিভি পরিবারই শোকাহত। তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আল্লাহ যেন পুরো পরিবারকে ধৈর্য ধরার ক্ষমতা দেন।
গতকাল মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর চামেলীবাগের নিজ বাসায় সীমান্ত খোকন ইন্তেকাল (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) করেন। তাঁর অকালমৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, এনটিভির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলীসহ এনটিভি পরিবার। জানাজা শেষে শেষে তাঁর মরদেহ গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের তারাইলের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়। নিজ গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে। মৃত্যুর আগে সীমান্ত খোকন স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। সাংবাদিক সীমান্ত খোকন শারীরিক নানা অসুস্থতায় ভুগছিলেন। সীমান্ত খোকনের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার দামিহা ইউনিয়নে।
১৯৭৩ সালে তাড়াইলে জন্ম নেওয়া সীমান্ত খোকন ছিলেন পুরোদস্তুর সাংবাদিক। মানবজমিনে বিনোদন সাংবাদিকতা দিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পথচলা শুরু করা সীমান্ত খোকন টেলিভিশন সাংবাদিকতায় আরটিভির পর ২০১০ সাল থেকে এনটিভি পরিবারের সাথে পথ চলেছেন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত। জাতীয় প্রেসক্লাবের বর্তমান ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ছিলেন সীমান্ত খোকন। ছিলেন চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির সহ সভাপতি। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে জাতীয় প্রেসক্লাব।