ডিসি নিয়োগ বাণিজ্যের মাস্টারমাইন্ড যুগ্ম সচিব আলী আজম!
হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথন ফাঁসে উঠে আসা জনপ্রশাসনের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান, যুগ্ম সচিব জিয়াউদ্দিন ছাড়াও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব এম আকমল হোসেন আজাদ, যুগ্ম সচিব কে এম আলী আজম ও তানভীরের নামে নিয়োগ বাণিজ্যসহ আরও অভিযোগ রয়েছে। তাদের সুপারিশে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে আওয়ামী লীগের সহযোগীদের পদায়ন ও পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে বলে তথ্য রয়েছে।
জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ বাণিজ্যের অন্যতম মাস্টাইমাইন্ড কে এম আলী আজম ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর ১৯ আগস্ট জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে যুগ্ম সচিব পদে নিয়োগ পান। বগুড়ার জন্ম নেওয়া এই কর্মকর্তার নাম উঠে এসেছে জনপ্রশাসন সিনিয়র সচিবের সঙ্গে কথোপকথনে একাধিক স্থানে। গর্ভমেন্ট অর্ডার তৈরি করা, নিয়োগকৃতদের সঙ্গে সমন্বয়ের বিষয়ে মোবাইল ফোনে কথোপকথনের প্রমাণ মেলে।
এ কাজে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেন এমন ব্যক্তিদের সরিয়ে দেওয়ার জন্য যুগ্ম সচিব আলী আজম ও জিয়াউদ্দিন একসঙ্গে কাজ করেছেন। অন্যতম উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার ও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের অ্যাডমিনের মহাপরিচালক আহসান কিবরিয়াকে কোনো কাজের জন্য দায়ী করার বিষয়ে বলতে দেখা যায় সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমানকে। পরে আহসান কিবরিয়াকে বিতর্কিত করায় জিয়াউদ্দিনকে ধন্যবাদ দিতে দেখা যায় সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমানকে।
ঢাকার ডিসি হিসেবে নিয়োগের বিষয়ে সুপারিশের জন্য তানভীর নামের একজন যুগ্ম সচিব জিয়াউদ্দিনের সঙ্গে বেশ কয়েক দফা বৈঠক করেন। এই তানভীরের চাহিদা অনুসারে ঢাকার ডিসি হিসেবে নিয়োগ পান শেখ হাসিনা সরকারের আইন সচিব আবু সালেহ মো. জহিরুল ইসলামের একান্ত সচিব তানভীর আহমেদ।
রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগে সচিব হিসেবে ২০ আগস্টে বদলি হওয়া আকমল হোসেন আজাদও ছিলেন তাদের আস্থাভাজন। পরে যদিও তাকে চাপে রাখার কৌশল হিসেবে কর্মকর্তাদের উসকে দেওয়ার কথা বলেন জনপ্রশাসনের সিনিয়র সচিব। ৫৬ জন আওয়ামী লীগ সমর্থিত ডিসি নিয়োগ নিয়ে প্রতিবাদ করায় ১৬ বছরে বঞ্চিত এবং ছাত্র আন্দোলনের সমর্থকদের আটজনকে গুরুদণ্ড দেওয়ার সুপারিশও করেন আকমল হোসেন আজাদ। একই চক্রটি আইন, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগসহ নিয়োগ বাণিজ্যে সহায়তা ও আগের সরকারের ব্যক্তিদের পুনর্বাসনে কাজ করছে বলে অভিযোগ আছে।