শেরপুরে ভয়াবহ বন্যা, দুর্ভোগে পানিবন্দি মানুষ
শেরপুরের ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলায় প্রবল বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যার পরিস্থিতি উজান এলাকায় উন্নতি হয়েছে। তবে, প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চলের আরও কিছু গ্রাম।
গত দুদিনের তুলনায় আজ রোববার (৬ অক্টোবর) ঝিনাইগাতী উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। ঝিনাইগাতী উপজেলার উঁচু এলাকাগুলো থেকে পানি নেমে গেছে। কিন্তু বগাডুবি ও চতলের মতন নিচু এলাকাগুলোতে এখনও পানি কমেনি। এসব অঞ্চলে ঘরবাড়িতে পানি উঠায় মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। পাহাড়ি ঢলে মহারশী নদীর তীরের কিছু কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
নালিতাবাড়ী উপজেলাতেও উঁচু এলাকাগুলো থেকে পানি নেমে গেছে। তবে, নিম্নাঞ্চলের কিছু গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, ঢলের পানি নামতে শুরু করলে ক্রমান্বয়ে নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হয়।
এদিকে, পাহাড়ি ঢলে দুই উপজেলার প্রায় দুই শতাধিক মাছের খামার ভেসে গেছে। নালিতাবাড়ীর কয়েকটি গ্রামে মুরগির খামার ঢলের পানিতে ভেসে গেছে। এ ছাড়া নালিতাবাড়ীতেও কাঁচা ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে।
জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, সেনাবাহিনীর স্পিডবোট দিয়ে উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা চালানো হচ্ছে। প্রশাসনের তরফ থেকে বন্যার্তদের মধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবীরা নিজ উদ্যোগে কাজ করছেন। উপজেলা প্রশাসন কর্মকর্তারা বন্যার্তদের সব রকম সাহায়তা করছে।