উন্মুক্ত হতে পারে সমুদ্রপথে হজযাত্রা
সমুদ্রপথে হজযাত্রা উন্মুক্ত হতে পারে। এরইমধ্যে সৌদি আরব সম্মতি দিয়েছে। তবে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগে বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন আছে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এ বছর পরীক্ষামূলক পানিপথে জাহাজযোগে দুই-তিন হাজার হাজযাত্রী প্রেরণের ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার চিন্তা-ভাবনা করছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ হতে সমুদ্রপথে হাজযাত্রী প্রেরণের প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন সৌদি সরকার। গতকাল রোববার দুপুরে সৌদি আরবের জেদ্দায় হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন এবং সৌদি হজ ও উমরাহবিষয়ক মন্ত্রী ড. তাওফিক ফাউযান আল রাবিয়ার মধ্যে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সৌদি মন্ত্রী এ সম্মতির কথা জানান।
সমুদ্র পথে হজযাত্রী প্রেরণের বিষয়ে ধর্ম উপদেষ্টার প্রস্তাবে সৌদি হজ ও উমরাহবিষয়ক মন্ত্রী জানান, সমুদ্রপথে বাংলাদেশ থেকে হাজযাত্রী প্রেরণে সৌদি সরকারের কোন আপত্তি নেই। তবে, বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন আছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারকেও জাহাজ কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
সৌদি হজ ও উমরাহবিষয়ক মন্ত্রী হাজযাত্রীদের জন্য বায়োমেট্রিক পদ্ধতিকে আপগ্রেড করার ব্যাপারে নিশ্চয়তা প্রদান করেন। তিনি হজ এজেন্সির মালিক অথবা তাদের প্রতিনিধির অনুকূলে মুনাজ্জেম (মাল্টিপল) ভিসা ইস্যুর ব্যাপারেও ধর্ম উপদেষ্টাক আশ্বস্ত করেন। এ ছাড়া রুট টু মক্কা কর্মসূচির আওতায় ২০২৩ ও ২০২৪ সালে হজযাত্রীদের বেশ কিছু লাগেজ হারিয়ে যাওয়ার ব্যাপারেও মন্ত্রী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে ধর্ম উপদেষ্টাকে আশ্বাস দেন।
এ বছর সৌদি হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয় থেকে প্রতি এজেন্সীকে কমপক্ষে দুই হাজার হাজি প্রেরণের কোটা নির্ধারণ করা হয়। এ ব্যাপারে ধর্মী উপদেষ্টা ২০২৪ সালের অনুরূপ এজেন্সি প্রতি আড়াইশ জন কোটা পুনর্নির্ধারণের অনুরোধ জানালে সৌদি মন্ত্রী বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দেন।
এ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সৌদি হজ ও উমরাহমন্ত্রীকে সহায়তা করেন সেদেশের হজ মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক সহযোগিতাবিষয়ক ডেপুটি মিনিস্টার ড. হাসান আল মানাখেরা এবং হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক বদর আল সেলামী।
এ সময় ধর্মসচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার, হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলাম, রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ব্রিগেডিয়ার রাকিবুল্লাহ, জেদ্দায় বাংলাদেশ কনসুলেটের কনসাল জেনারেল মিয়া মুহাম্মদ মঈনুল কবির, জেদ্দা হজ মিশনের কাউন্সেলর জহিরুল ইসলাম, হজ কনসাল মুহাম্মদ আসলাম উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।