তিন সন্তান ও স্বামীর পর মারা গেলেন আগুনে দগ্ধ শেলীও
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ভাড়া বাসায় এক পরিবারের ছয় সদস্য থাকত। গত শুক্রবার, অর্থাৎ ২৫ অক্টোবর রাতে গ্যাস পাইপলাইনের লিকেজ থেকে লাগা আগুনে সবাই দগ্ধ হয়। ওই রাতেই তাদের ভর্তি করা হয় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। কিন্তু, এক সপ্তাহের ব্যবধানে তিন সন্তান ও স্বামী-স্ত্রীসহ মোট পাঁচজন একে একে পাড়ি জমালেন পরকালে।
সর্বশেষ শুক্রবার বিকেলে ৩টার দিকে দগ্ধ মোছা. শেলী আক্তার (৩৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শেলীর শরীরের ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। গতকাল শৈলীর স্বামী বাবুল মিয়াও মারা যান। তার শরীরের ৬৬ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। তাদের কন্যা মুন্নি ২০ শতাংশ দগ্ধ শরীর নিয়ে এখনও চিকিৎসাধীন। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এ তথ্য জানান ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম।
এর আগে তরিকুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, গত ২৯ অক্টোবর রাত পৌনে ৮টার দিকে বাবুল মিয়ার মেয়ে তাসলিমা আক্তার (৯) মারা গেছে। তার আগে তসলিমার বড়ভাই সোহেল ও ইসমাইলের মৃত্যু হয়।
নিহত শেলী আক্তার ও বাবুল মিয়ার গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ থানার সুজাপুর গ্রামে। তারা রূপগঞ্জ এলাকায় একই বাসায় সন্তানদের সঙ্গে থাকত।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর শেলীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান মরদেহ বার্ন ইনস্টিটিউটের মর্গে রাখা হয়েছে।
গত শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ডহরগাও এলাকার একটি বাসায় গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে নারী ও শিশুসহ একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।