পবিপ্রবিতে র্যাগিংয়ে আহত ৫ শিক্ষার্থী হাসপাতালে, বহিষ্কার ৭
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) রাতভর র্যাগিং ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার পাঁচ শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সাত শিক্ষার্থীকে প্রাথমিকভাবে হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার (২৩ নভেম্বর) দিনগত রাত আড়াইটায় এম কেরামত আলী হলে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীরা স্নাতক প্রথম বর্ষের (২০২৩-২৪) ছাত্র। রাত সাড়ে ৩টার দিকে তাঁদের দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মীর শহিদুল হাসান শাহীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ২০২৩-২৪ সেশনের এক শিক্ষার্থী বলেন, গতকাল গভীর রাতে এম কেরামত আলী হলের একটি কক্ষে র্যাগিংয়ের নামে তাদের নির্যাতন করা হয়। এ ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটলেও কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না।
প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপকালে আরও জানা যায়, সিনিয়র শিক্ষার্থীরা এসে তাদের সবার ফোন জমা নিয়ে একটা টেবিলে রেখে দেন। পরে তাদের কান ধরে ওঠবস করানোসহ অকথ্য ভাষায় গালাগাল করা হয়। অনেক সময় তাদের জানালায় ঝোলানো থেকে শুরু করে বিভিন্নভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়।
ঘটনার বিষয়ে পবিপ্রবির প্রক্টর প্রফেসর ড. আবুল বাশার খান বলেন, র্যাগিংয়ের ঘটনায় জড়িত সাত শিক্ষার্থীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তাদের হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়টির রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মামুন অর রশিদ বলেন, এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যেই অভিযুক্ত সাত শিক্ষার্থীকে হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম হাসপাতালে গিয়ে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর নেন। তিনি তাঁদের সর্বোচ্চ সুচিকিৎসার বিষয়টিও নিশ্চিত করেছেন।
উপাচার্য সাংবাদিকদের বলেন, আমরা অভিযুক্ত সাত শিক্ষার্থীকে র্যাগিংয়ের দায়ে আজই হল থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। বিষয়টি নিয়ে ডিসিপ্লিনারি বোর্ডের সঙ্গে ইতোমধ্যে সভা হয়েছে। তাদের সুপারিশক্রমে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাদের একাডেমিকসহ অধিকতর শাস্তির আওতায় আনা হবে।