শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে : আসিফ মাহমুদ
রাজধানীর যাত্রাবাড়ি এলাকায় শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল কলেজ এবং ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীর মধ্যে হামলা, মারধর ও সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি বলেন, ‘ভাঙচুরসহ হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় কারা জড়িত, অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং আগামীতে এ ধরনের ঘটনাকে কোনোভাবেই টলারেট করা হবে না।’
উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, সংঘর্ষ এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। কোনোভাবেই যেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ না হয়, সেজন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করে যাচ্ছিল, কিন্তু কোনোভাবেই সংঘর্ষ এড়ানো যায়নি।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে আসিফ মাহমুদ এসব কথা বলেন। এ সময় তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে আসিফ মাহমুদ বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গা থেকে আমরা দেখেছি, তিনজন নিহত হওয়ার একটি খবর রটেছিল। তবে, এখন পর্যন্ত কারও নিহত হওয়ার কোনো সংবাদ আমরা পাইনি। নানা মাধ্যমে চেষ্টা করেও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। প্রতিষ্ঠিত কোনো গণমাধ্যমেও এ ধরনের খবর আমরা পাইনি। তিনি বলেন, তবে অনেকেই আহত হয়েছেন, হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এটি আমরা জানতে পেরেছি। তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ছাত্রদেরকে ধৈর্য সহকারে যেকোনো সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানিয়ে সরকারের এই উপদেষ্টা বলেন, ‘ আমরা বারবার আহ্বান জানাচ্ছি ছাত্ররা যেন কোনো প্রকার উসকানিতে পা না দিয়ে ধৈর্য সহকারে তাদের যেকোন সমস্যা কলেজ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সমাধান করতে পারে। কিংবা প্রয়োজন হলে সরকারও এর মধ্যে অংশীভূত হতে পারে।’ তিনি জানান, মাহবুবুর রহমান কলেজের হামলার ঘটনা নিয়ে কাজ করার সময় জানতে পারলাম যে ৬ দিন আগ থেকে এই ঘটনার সূত্রপাত হয়। একজন শিক্ষার্থী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ার অভিযোগে এই ঘটনা শুরু হয়, অভিযোগ ছিল ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের বিরুদ্ধে। কিন্তু এখানে সোরহাওয়ার্দী কলেজ কীভাবে এলো সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি।
এক প্রশ্নের উত্তরে আসিফ মাহমুদ বলেন, বিগত দিনগুলোতে পুলিশ যেকোন সংঘর্ষ এড়ানোর জন্য রাবার বুলেট বা গুলি ছুড়তো। এটা কোনো আন্তর্জাতিক প্রাকটিস না। আমরা সেই জায়গা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছি। অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার পেছনে কারা জড়িত এ বিষয়ে অনেক ধরনের তথ্য আসছে। জড়িতদের খুঁজে বের করতে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে জানাতে পারব কারা এর পেছনে জড়িত আছে।