আজকের রাজনীতির চ্যালেঞ্জ নিজেদের সংস্কার করা : মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারের কথা বলছে। খুব ভালো কথা, সংস্কার তো লাগবেই। যতক্ষণ পর্যন্ত না আমরা নিজেরা নিজেদের সংস্কার না করি, তাহলে এই সরকার যত সংস্কার কমিশন ও সংস্কারই করুক না কেন কোনো লাভ হবে না।
আজ বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির নেতা আতিকুর রহমান সালুর স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মঈন খান একথা বলেন। স্মরণ সভাটির আয়োজন করে আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটি (আইএফসি)। তিনি বলেন, গণতন্ত্রে রূপান্তরের মাত্র একটি ধাপ আমরা অতিক্রম করেছি, তা হচ্ছে স্বৈরাচারের বিদায়। আরও কঠিন দুটি ধাপ রয়েছে। দ্বিতীয় ধাপ হলো অত্যাবশ্যকীয় সংস্কার সম্পাদন করে এ দেশে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিয়ে কোটি কোটি মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা। তৃতীয় ধাপ হলো নির্বাচিত মানুষের কাছে অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক ক্ষমতা হস্তান্তর করা।
মঈন খান বলেন, আজকের রাজনীতির চ্যালেঞ্জ আমাদের প্রত্যেককে নিজেদের নিজেকে সংস্কার করা। আমাদের জনগণের সেবক হয়ে রাজনীতি করতে হবে। একটি জনগণের সরকার আসতে হবে। যারা একটি স্বাধীন সংসদ গঠন করবে, যারা সত্যিকার অর্থে প্রতিনিধিত্ব করবে, ডামি বা ভুয়া সংসদ নয়। এ গুরু দায়িত্ব এসে পড়েছে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপরে। সে কারণেই আমরা বলছি— এই সরকারকে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা দিচ্ছি। আমরা কোনও অবস্থাতেই চাই না, তারা ব্যর্থ হয়। কেননা, এই সরকার ব্যর্থ হলে তা শুধু তাদের ব্যর্থতা হবে না। সেটা হবে সমগ্র জাতির ব্যর্থতা।
বিএনপির এই নেতা বলেন, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ঐক্য অবশ্যই প্রয়োজনীয়। কিন্তু এ প্রসঙ্গে আমি আপনাদের আরও একটু সতর্ক করে দিতে চাই। ঐক্য করতে গিয়ে আবার নতুন করে যদি বাকশাল করে ফেলি—তাহলে কিন্তু সেই ঐক্যে কাজ হবে না। জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হাজার হাজার জীবনের বিনিময়ে স্বৈরাচারকে দেশ থেকে হটানো হয়েছে। কিন্তু তার অর্থ এটা নয় যে, দেশে গণতন্ত্র ফেরত এসেছে। এই সত্যকে আমাদের উপলব্ধি করতে হবে।