জাবির আবাসিক হল থেকে শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল থেকে তাকিয়া তাসনিম বিভা (১৯) নামে এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে বীর প্রতীক তারামন বিবি হলের একটি কক্ষ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তাকিয়া তাসনিম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের প্রথম বর্ষের ৫৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি মাগুরা শহরের পারনান্দুয়ালীতে। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান ছিলেন তাকিয়া।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, অন্য রুমমেটরা হলে না থাকায় তাকিয়া তাসনিম একাই ছিলেন তার রুমে। সপ্তম তলায় নিজের কক্ষে বন্ধু সাব্বিরের সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি। এক পর্যায়ে তাকে ভিডিও কলে রেখেই গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেন তিনি। ভোর পৌনে ৫টার দিকে তাকিয়ার বান্ধবীদের ফোন করে দ্রুত রুমে গিয়ে দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করতে বলেন সাব্বির। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে তাকিয়াকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের উপস্থিত তাকিয়ার নিথর দেহ উদ্ধার করে গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পাশের কক্ষের শিক্ষার্থীরা জানান, তাকিয়া আবাসিক শিক্ষার্থী হলেও হলে তিনি নিয়মিত হলে থাকতেন না। থাকতেন সাভারে তার মামার বাসায়। গতকালকেই তিনি হলে এসেছেন।
তাকিয়ার মামা মনির হোসেন জানান, মাগুরা থেকে তাকিয়ার পরিবারের সদস্যরা রওনা হয়েছেন। তারা এলে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হবে।
বীরপ্রতীক তারামন বিবি হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক আবেদা সুলতানা বলেন, মেয়েরা প্রথমে দরজা ভাঙতে ভয় পাচ্ছিল। এক পর্যায়ে কিছু সাহসী মেয়ে দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে। মেডিকেলে নেওয়া হলে তাকিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন ডাক্তার। এটি একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু। তার কক্ষে ডায়েরি ও মোবাইলসহ কিছু জিনিস পাওয়া গেছে। পুলিশ সেগুলো দেখছে। সেখানে হয়তো কিছু থাকতে পারে।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানান, আইনগত প্রক্রিয়ার বিষয়টি নির্ভর করছে নিহত ওই শিক্ষার্থীর পরিবারের উপর। পরিবার ও হল প্রাধ্যক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে তার ময়নাতদন্ত করা হবে। তারা অনুমতি না দিলে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।