পূর্ব তিমুরে বাংলাদেশের দক্ষ জনশক্তি কাজে লাগানোর আহ্বান রাষ্ট্রপতির
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গভবনে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক করেছেন পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস-হোর্তা। এরপর বিকেলে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ায় পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্টকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি।
সাক্ষাতকালে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, পূর্ব তিমুরের কোনো প্রেসিডেন্টের এটিই বাংলাদেশে প্রথম সফর। প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তার সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও পূর্ব তিমুরের কূটনৈতিক সম্পর্কের পাশাপাশি দুদেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, স্বাধীনতার পর পূর্ব তিমুরকে স্বীকৃতি দানকারী প্রথম সারির দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। এ সময় তিনি দুদেশের মধ্যে খাদ্য নিরাপত্তা, দারিদ্র্য দূরীকরণ, চিকিৎসা, অবকাঠামো ও মানব সম্পদ উন্নয়ন, জ্বালানি ও জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
পরিবর্তনশীল বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মানবসম্পদ উন্নয়নের গুরুত্ব উল্লেখ করে মো. সাহাবুদ্দিন গবেষণা, প্রশিক্ষণ ও উচ্চশিক্ষার জন্য সহযোগিতার নতুন নতুন ক্ষেত্র খুঁজে বের করতে দুদেশের একসঙ্গে কাজ করার ওপর জোর দেন।
বাংলাদেশে পূর্ব তিমুরের কনস্যুলেট চালুর উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, এর ফলে দুদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে এবং বাণিজ্য বিনিয়োগসহ বহুপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার হবে। বাংলাদেশে অনেক দক্ষ চিকিৎসক, প্রকৌশলী, কৃষিবিদ, তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞসহ স্নাতক ও কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন জনশক্তি রয়েছে। বাংলাদেশের দক্ষ জনশক্তি কাজে লাগিয়ে পূর্ব তিমুর তাদের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে পারে।
পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস-হোর্তা বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নকে তার দেশ গুরুত্ব দেয়। দুই দেশের উন্নয়নে সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রসমূহকে কাজে লাগাতে একসঙ্গে কাজ করবেন বলে এ সময় আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সাক্ষাৎকালে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও রাষ্ট্রপতির সচিবরা উপস্থিত ছিলেন। পরে, বঙ্গভবনের পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন জোসে রামোস-হোর্তা।