মোংলা বন্দরসহ সারা দেশে নৌযান শ্রমিকদের লাগাতার কর্মবিরতি
চাঁদপুরে কার্গো জাহাজে খুন হওয়া শ্রমিকদের প্রত্যেক পরিবারকে ২০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা ও দেশের সব নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী ও ডাকাতি বন্ধে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় মোংলা বন্দরসহ সারা দেশে নৌযান শ্রমিকদের লাগাতার কর্মবিরতি পালন শুরু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১২টা ১মিনিট থেকে এ কর্মবিরতি শুরু করেন নৌযান শ্রমিকেরা।
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম এক যৌথ বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তারা বলেন, ‘সব ধরনের পণ্যবাহী, তেল-গ্যাসবাহী ও বালুবাহী নৌযানের শ্রমিকেরা লাগাতার এ কর্মবিরতি শুরু করেছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মবিরতি চলবে। তবে, যাত্রী সাধারণের দুর্ভোগের বিষয় বিবেচনা করে আপাতত সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান কর্মবিরতির আওতামুক্ত থাকবে।’
বাংলাদেশ লঞ্চ লেবার অ্যাসোসিয়েশনের মোংলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, গতকাল মধ্যরাত থেকে সারা দেশে নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। ফলে দেশব্যাপী নৌযান চলাচল, পণ্য পরিবহণ ও বোঝাই-খালাসের কাজ বন্ধ হয়ে যাবে। এতে সারা দেশের নৌযান সেক্টরে অচলাবস্থার সৃষ্টি হবে। আর এর দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে। কারণ এর আগে আমরা এ দাবি পূরণে আল্টিমেটামও দিয়েছিলাম। তাতে সরকারের সারা পাওয়া যায়নি। সরকার তাৎক্ষণিক দাবি বাস্তবায়ন করলে আজ দেশের নৌপথে এই অচলাবস্থার সৃষ্টি হতো না।
এর আগে এ দাবিতে গত কয়েকদিন মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও পথসভা করে লাগাতার কর্মবিরতি পালনের আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন নৌযান শ্রমিকেরা।