সুন্দরবনে পর্যটকের ঢল
বড়দিনের ছুটিতে সুন্দরবনে যেন পর্যটকদের ঢল নেমেছে। এ ছুটি উপলক্ষে বুধবার ও বৃহস্পতিবারের পাশাপাশি শুক্রবারও পূর্বের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি পর্যটকের আগমন ঘটেছে সুন্দরবনে।
বড়দিনের আনন্দ উপভোগ করতে দেশের দূরদূরান্ত থেকে বন্ধু-বান্ধব ও পরিবারসহ ছুটে আসছেন পর্যটকরা। বড়দিনের ছুটির একদিন পর আজ শুক্র ও আগামীকাল শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় আরও বেশি পর্যটক বেড়েছে বিশ্বখ্যাত ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবনে।
সুন্দরবনের করমজল পর্যটন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির জানান, দেশের যেকোনো জায়গা থেকে মোংলায় আসার পর মোংলা থেকে সবচেয়ে কাছাকাছি ও আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র করমজলেই ভিড় সবচেয়ে বেশি দর্শনার্থীদের। এ ছাড়া বনের হাড়বাড়িয়া, কটকা, কচিখালী ও আন্ধারমানিকসহ অন্যান্য স্পটেও ঢল নেমেছে পর্যটকদের। বড়দিনের ছুটির একদিন পরই টানা দুদিন সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় বড় বড় বিলাসবহুল লঞ্চে সুন্দরবন ভ্রমণ করছেন দেশ-বিদেশের নানা বয়সের মানুষ। যার কারণে করমজলসহ অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রগুলো দেশি-বিদেশি পর্যটকদের পদচারণায় মুখ হয়ে উঠেছে।
আজাদ কবির আরও বলেন, শুক্রবার করমজলে পর্যটক এসেছেন প্রায় চার হাজার। আর বৃহস্পতিবার তিন হাজার, বুধবার আড়াই হাজার আর মঙ্গলবার দেড় হাজার পর্যটক আসেন করমজলে। তবে বড়দিন উপলক্ষে এবার অনেক পর্যটকের সমাগম ঘটেছে, যা বিগত কোনো সময় এত ভিড় দেখা যায়নি। মূলত দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভালো থাকায় মানুষ নির্ভয়ে ভ্রমণ করছেন।
সুন্দরবনকেন্দ্রিক পর্যটন ব্যবসায়ী মো. মিজানুর রহমান বলেন, গত সপ্তাহ থেকেই সুন্দরবনে পর্যটকদের আগমন অনেক বেড়েছে। একদিকে বড়দিনের ছুটি অপরদিকে সপ্তাহের দুদিনের ছুটি উপভোগ করছেন ভ্রমণপিয়াসুরা। পর্যটকের চাপ বাড়ায় আমার নিজের লঞ্চসহ খুলনার ভাড়া লঞ্চে প্যাকেজ ট্রিপে পাঠাতে হয়েছে দর্শনার্থীদের।
পর্যটন ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম বলেন, এখন শীতকালই মুলত পর্যটন মৌসুম। এ মৌসুমে কম-বেশি দর্শনার্থীদের চাপ থাকে। তবে বড়দিনের সঙ্গে সাপ্তাহিক দুই দিনের ছুটিতে ব্যাপক মানুষের আগমন ঘটেছে। সবাই মিলে তাদের সেবা দিতে আমরা ট্যুর ব্যবসায়ীরা সমন্বয় করে কাজ করছি। যাতে সবাই ভালো ও সমান সেবা পেতে পারেন।