চীন সবসময় বাংলাদেশকে প্রতিবেশী কূটনীতিতে গুরুত্ব দেয় : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই
চীন সবসময় বাংলাদেশকে প্রতিবেশী কূটনীতির গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রাখে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির চীনের কমিউনিস্ট পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। বেইজিংয়ে গতকাল মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সফররত বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।
বৈঠকে ওয়াং ই বলেন, চীন সবসময় বাংলাদেশকে প্রতিবেশী কূটনীতির গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রাখে। বাংলাদেশের সব মানুষের সঙ্গে সহাবস্থানের নীতি মেনে চলে চীন। চলতি বছর দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী এবং ‘চীন-বাংলাদেশ মানবিক ও সাংস্কৃতিক বিনিময় বর্ষ’। দু’দেশের সম্পর্ক উন্নয়ন নতুন সুযোগের মুখোমুখি হচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, চীন বাংলাদেশের সঙ্গে ঐতিহ্যগত মৈত্রীর ভিত্তিতে, কৌশলগত যোগাযোগ জোরদার করতে, বাস্তব ভিত্তিক সহযোগিতা সম্প্রসারণ করতে, উচ্চমানে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগের আওতায় নির্মাণ করতে, চীন-বাংলাদেশ সার্বিক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বের সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে ইচ্ছুক।
জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, চীনের সঙ্গে বন্ধুত্ব হলো বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর অভিন্ন চেতনা, যা প্রতি সরকারের আমলেই সকল মানুষের সমর্থন পায়। বাংলাদেশ চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে নতুন পর্যায়ে উন্নীত করার আকাঙ্ক্ষা লালন করে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে এক চীন নীতি এবং অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতি মেনে চলে এবং দৃঢ়ভাব জাতিসংঘের ২৭৫৮ নম্বর প্রস্তাবকে সমুন্নত রাখে। বাংলাদেশ হলো চীনের সঙ্গে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ সহযোগিতা স্মারক স্বাক্ষর করা প্রথম দক্ষিণ এশীয় দেশ।
বাংলাদেশ চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের উত্থাপিত তিনটি বিশ্ব উদ্যোগে গুরুত্বারোপ করে এবং বেইজিংয়ের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিষয়ে সমন্বয় জোরদার করতে ইচ্ছুক বলেও জানান তৌহিদ হোসেন।