নাগরিক নিরাপত্তা প্রশ্নে রাষ্ট্রের উদাসীনতার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
নাগরিকদের নিরাপত্তার প্রশ্নে রাষ্ট্রের উদাসীনতা বা নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে নাগরিক আন্দোলন, খুলনা। আজ মঙ্গলবার (২৮ জানুযারি) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠনের আহ্বায়ক ডা. বাহারুল আলম লিখিত বক্তব্য পড়েন।
লিখিত বক্তব্যে ডা. বাহারুল আলম খুলনায় নাগরিক নিরাপত্তায় ভয়াবহ ও আতঙ্কজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। লিখিত বক্তব্যে ডা. বাহারুল আলমবলেন, সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মনোযোগ আকর্ষণ করে বলতে চাই, এই জনপদে এক সময় বিস্ফোরণ ঘটবে, যা নাগরিক ও সরকার কারও পক্ষে সুখকর হবে না। মানুষের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেলে সুনামির মতো হয়ে উঠবে। যা জাতির জন্য অনাকাঙ্ক্ষিত। গত চার মাসে ১২ জুন খুন হওয়ায় নগরীর সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত।
লিখিত বক্তব্যে ডা. বাহারুল আলম আরও বলেন, ফুলনা নগরী এখন খুনের উপত্যকায় পরিণত হয়েছে। একের পর এক খুন হচ্ছে মানুষ। রাষ্ট্রের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা সক্রিয় নয়। তারা জনজীবনের নিরাপত্তা দিতে সক্ষম নয়। বিগত কয়েক মাসে বিভিন্ন ঘটনায় এ শহরে ১২ জন নাগরিক খুন হয়েছেন। খুলনা শহর এখন খুনের নগরী। ডাকাতি, সন্ত্রাস চাঁদাবাজি, ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। যা খুলনার শান্তিপ্রিয় নাগরিকদের আতঙ্কিত করে তুলেছে।
অর্থবছরের মধ্যবর্তী সময়ে ভ্যাট বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে লিখিত বক্তব্যে ডা. বাহারুল আলম বলেন, এর ফলে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন স্বল্প ও নিম্ন আয়ের মানুষ দিনাতিপাত করতে চরমভাবে ভোগান্তিতে পড়বে।
খুলনা নগরীর প্রবেশ মুখ গল্লামারি ব্রিজের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা আহ্বান জানিয়ে ডা. বাহারুল আলম বলেন, সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন সংযোগ সড়কটি কেডিএ ও কেসিসির সমন্বয়ে ব্যবহার উপযোগী করার মাধ্যমে নগরীর যানজট অনেকটা নিরাসন সম্ভব। নগরীর সর্বত্র বিদ্যমান ট্রাফিক অব্যবস্থাপনা জনজীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। তাই যথাযথ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জোর দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক আন্দোলনের অ্যাডভোকেট অ ফ ম মহাসিনসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।