বিদেশি ফল লোকাট চাষ হচ্ছে তেঁতুলিয়ায়
বিদেশি ফল লোকাট চাষ হচ্ছে দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায়। ইতোমধ্যে লোকাট গাছে ফলনও আসতে শুরু করেছে। উপজেলার ৩০ জন উদ্যোক্তা উচ্চমূল্যের এই বিদেশি ফল চাষ শুরু করেছেন।
পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) ও ইফাদের আর্থিক সহযোগিতায় বেসরকারি সংস্থা ইকো-সোশ্যাল ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও) আরএমটিপির ‘উচ্চমূল্যের ফল-ফসলের জাত সম্প্রসারণ ও বাজারজাতকরণ’ শীর্ষক ভ্যালু চেইন উপপ্রকল্পের আওতায় উপজেলার ৩০ জন উদ্যোক্তাদের মাঝে ২০২৩ সালের ১০ নভেম্বর ৪৮৫টি লোকাট গাছের চারা বিতরণ করা হয়।
লোকাট গাছ সাধারণত বছরে দুবার ফলন দেয়। গত বছরের জুন-জুলাই মাসে কয়েকটি গাছে ফুল এলেও তা ঝরে যায়। তবে উপজেলা সদর ইউনিয়নের শারিয়ালজোত গ্রামের রইছুন আকতার (৩০) নামে এক উদ্যোক্তার গাছে দুটি ফল হয়। তিনি জানান, ফলগুলো অনেক সুস্বাদু এবং রং খুব সুন্দর। পাকলে হলুদ বা কমলা রং ধারণ করে। এবার তার বাগানের বেশিকিছু গাছে ফল ধরেছে৷
লোকাট একটি সুস্বাদু গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ফল। এতে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ মজ্জা থাকে এবং ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বীজ থাকে। বিভিন্ন দেশ বাণিজ্যিকভাবে লোকাট চাষ করে, তবে চীন ও জাপানকে প্রধান উৎপাদক বলা হয়ে থাকে। গাছটি ৩৫ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে। একটি পূর্ণবয়স্ক গাছের উচ্চতা সাত থেকে আট মিটার পর্যন্ত হতে পারে।
ইএসডিও প্রজেক্ট ম্যানেজার কল্যাণ মহন্ত জানান, লোকাট গাছে ফুল আসার পর থেকে ফল পরিপক্ক হতে তিন মাস সময় লাগে। তারা আশা করছেন, যে ফলগুলো ধরেছে, তা এপ্রিল-মে মাসে খাওয়ার উপযোগী হবে৷
ইএসডিওর হেড অব ইনক্লুসিভ মাইক্রোফিন্যান্স ও ফোকাল পারসন মো আইনুল হক বলেন, ‘এসব বিদেশি ফলের চারা থাইল্যান্ড থেকে আনা হয়েছে। এগুলোর মাধ্যমে চাষিরা অর্থনৈতিকভাবে যেমন স্বাবলম্বী হবেন, তেমনি তেঁতুলিয়ায় ইকো ট্যুরিজমের ক্ষেত্রেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’