গোপালগঞ্জে ৬ লক্ষাধিক টাকাসহ ৩ যুবক গ্রেপ্তার

গোপালগঞ্জ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট অফিস থেকে ১০ লক্ষাধিক টাকা চুরির মামলায় আন্তঃজেলা চোরচক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। নিজেদের চুরির সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-২ এর আদালতের বিচারক আবির হোসেনের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে গ্রেপ্তার তিন চোর।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (৮ ফেব্রুয়ারি) মির মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান জানায়, গত ২ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া এলাকার ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার রুমের আলমারি ভেঙে ওই চোর চক্রের সদস্যরা ১০ লাখ ৮৩ হাজার টাকা চুরি করে। ঘটনার পর গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং ওই আলমারির ড্রয়ার থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা উদ্ধার করে। পরদিন (৩ ফেব্রুয়ারি) ওই কর্মকর্তা ড. মো. রোমেল বিশ্বাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি মামলা করেন। গোপালগঞ্জ থানার এসআই নয়ন কুমার সাহা ও এসআই মামুন হোসেন তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় চুরির ঘটনায় ওই অফিসের মৌসুমী শ্রমিক নাজমুল জড়িত থাকার সন্ধান পান। এরপর গত ৫ ফেব্রুয়ারি ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে সেখানকার মৌসুমী শ্রমিক ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার রূপাপাত গ্রামের নাজমুল মাতুব্বরকে (২৮) গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া স্বীকারোক্তিতে শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে খাগড়াছড়ি জেলার বলিপাড়া গ্রামের আতাউর রহমান রাজুকে (৪০) তার বাড়ি থেকে ও খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার কমলছড়ি ইউনিয়ন তাতকুপ্পা এলাকা থেকে ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের মো. হাবিব শেখকে (৩০) গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় চুরি হওয়া ১০ লাখ ৮৩ হাজার টাকার মধ্যে তাদের কাছ থেকে ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা ও চুরির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নয়ন কুমার সাহা জানান, আজ বিকেলে আদালতে পাঠানোর পর সন্ধ্যা ৬টায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবির হোসেনের আদালতে চুরি করার ঘটনার বিষয়ে ১৬৪ ধারায় বিস্তারিত জবানবন্দি প্রদান করে গ্রেপ্তারকৃত নাজমুলসহ চোরেরা। জবানবন্দি শেষে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট ৩ চোরকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন। এদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় হত্যা, চুরিসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে।