যে ৩২ নম্বর থেকে গুম-খুনের নির্দেশ যেত তা ভেঙ্গে ফেলা ঠিক হয়েছে : ফারুক
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/09/jyynul_aabdin_phaaruk_chbi_1.jpg)
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, যে ৩২ নম্বর থেকে গুম খুনের নির্দেশ যেতো তা ভেঙ্গে ফেলা ঠিক হয়েছে। ধানমন্ডির ৩২ নম্বর একটি অভিশপ্ত বাড়ি। এই বাড়ি থেকে এমন কোনো অন্যায় নির্দেশনা নেই যা দেওয়া হয়নি। ডিবি হারুন সংসদের সামনে আমাকে নির্যাতন করে এই বাড়িতেই সেই খবর পৌঁছে দিয়েছিল।
আজ রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তৃণমূল নাগরিক আন্দোলনের উদ্যোগে অবিলম্বে নির্বাচন কেন্দ্রিক সংস্কার শেষ করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জয়নুল আবদিন ফারুক এসব কথা বলেন।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘পালিয়ে যাওয়া ফ্যাসিস্ট কিভাবে ঘোষণা দিয়ে বক্তব্য দেয়? অন্তর্বর্তী সরকার কি করে? সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরা কি করেন? তার উস্কানিমূলক বক্তব্যের কারণেই দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে। ফ্যাসিবাদের দোসররা নতুন করে ষড়যন্ত্র করতে শুরু করেছে। এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হলে অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হবে। তাদেরকে কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। আমি বিশ্বাস করি আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে প্রজ্ঞা ও ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন এবং নেতাকর্মীদেরকে যে নির্দেশনা দিয়েছেন তা শুধু প্রশংসার দাবিদার না, বর্তমান সময়ে রাজনৈতিক দুরদর্শিতার পরিচয় বহন করে।’
প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘আপনি একজন ভালো মানুষ, প্রজ্ঞাবান মানুষ। সংস্কারের নামে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হলে দেশ আরও গভীর সংকটে পড়ে যাবে। অবিলম্বে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন, গণতান্ত্রিক ও নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিন। দোসররা তখন আর কোনো সুযোগ নিতে পারবে না।’
তৃণমূল নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি মফিজুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, বিএনপির সহ- তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সাইফ আলী খান, বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি বিলকিস ইসলাম, এনডিপি’র মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, জাতীয়তাবাদী তাঁতীদল কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ড. কাজী মনিরুজ্জামান, ওলামা দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা আলমগীর হোসেন, জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের সাবেক আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী, মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. ইব্রাহিম হোসেন, কৃষকদল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রমিজ উদ্দিন রুমি, পিপলস পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বিলকিছ ইসলাম, পল্টন থানা বিএনপি নেতা ফিরোজ পাটোয়ারী প্রমুখ।