রেললাইনের পাশে স্কুল, সীমানা প্রাচীর না থাকায় ঝুঁকিতে শিক্ষার্থীরা
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/11/school_0.jpg)
শিশুদের শিক্ষাজীবনের শুরুটা হয় প্রাথমিক স্কুল পা রাখার মাধ্যমে। আনন্দ ও উচ্ছ্বাসের সঙ্গে শিশুরা শিক্ষাগ্রহণ করে থাকে। শিশুদের স্কুলে পাঠিয়ে নিশ্চিন্তে থাকতে চান অভিভাবকেরা। কিন্তু কুমিল্লার লাকসামের তপইয়া ময়ুরেন্নেছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুদের পাঠিয়ে উদ্বিগ্ন থাকতে হয় অভিভাবকদের।
তপইয়া ময়ুরেন্নেছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নেই সীমানা প্রাচীর। পাশ দিয়ে চলে গেছে রেললাইন। এতে বিদ্যালয়টির শতাধিক শিক্ষার্থীকে নিয়ে ঝুঁকিতে রয়েছেন শিক্ষকেরা। এমতাবস্থায় ঝুঁকির কথা ভেবে অভিভাবকেরাও সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। এখানে দ্রুত সীমানা প্রাচীর নির্মাণের দাবি জানিয়েছে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরাও।
লাকসাম-নোয়াখালী রেলপথের পাশে লাকসাম উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের তপইয়া গ্রামে তপইয়া ময়ুরেন্নেছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্কুলটি ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানে ১১৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। ঝুঁকিমুক্ত হলে এখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা হয়ত আরও বেশি হতো।
তপইয়া গ্রামের বাসিন্দা শিক্ষানুরাগী আবদুল ওয়াদুদ খোকন বলেন, এখানে মনপাল, তপইয়া ও কৃষ্ণপুরসহ বিভিন্ন গ্রামের শিক্ষার্থীরা পড়তে আসেন।
সীমানা প্রাচীর না থাকায় শিক্ষার্থীরা ঝুঁকিতে রয়েছেন। এখানে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা না হলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
অভিভাবক রাশিদা খাতুন বলেন, ‘ছেলেকে স্কুলে পাঠিয়ে আতঙ্কে থাকি। কখন না ট্রেন চলে আসে। কখন আবার সে রেললাইনে উঠে পড়ে।’
স্কুলের শিক্ষক বিদ্যুৎ পাল বলেন, ‘ট্রেন এলে আমরা রেললাইনের পাশে দাঁড়িয়ে যাই। যাতে শিক্ষার্থীরা রেললাইনে উঠতে না পারে। এছাড়া এলাকাবাসী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়ে তৎপর থাকেন।’
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক ইয়াসমিন আক্তার বলেন, ‘আমরা সীমানা প্রাচীর নির্মাণের বিষয়ে উপজেলায় আবেদন করেছি। দুই বছর ধরে এই বিষয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
উপজেলা শিক্ষা অফিসার দেলোয়ার হোসেন মজুমদার বলেন, ‘আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি এই স্কুলের শিক্ষার্থীরা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এ বিষয়ে আবেদন জানানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সেটি অনুমোদন হবে।’