বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, আওয়ামী লীগের আমলে আমাকে গভর্নরের দায়িত্ব দিতে চাইলেও আমি নেইনি। সে সময়ে আমি জেনে বুঝেই সরকারের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছি। এরপর ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর অন্তর্বর্তী সরকারে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবো জেনে গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছি।

নীলফামারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আহসান এইচ মনসুর এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, ছাত্রদের কারণেই বাংলাদেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন হয়েছে। ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৯ এর আন্দোলন ও ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধেও ছাত্রদের অবদান অনস্বীকার্য। ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের পতনই স্মরণ করিয়ে দেয়, ছাত্ররাই সবকিছু বদলিয়ে দিতে পারেন। ছাত্রদের ওপর সবকিছু নির্ভর করে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ওপর আরোপিত রাজস্ব তুলে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে অক্টোবর থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি ২০ শতাংশ থেকে পঁয়ত্রিশ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বছরের শেষ নাগাদ মুদ্রাস্ফীতি ৫ শতাংশে নেমে আসবে।

নীলফামারী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোহসিন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সভাপতি আলমগীর সরকার, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ড. খায়রুল আনাম ও গভর্নরের বন্ধু রেজাউল আজিম মুক্তি। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন নীলফামারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নলীনি কান্ত রায়।