গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের রেলপথ অবরোধ প্রত্যাহার

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে গাজীপুর ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম পরিবর্তনের আশ্বাস পেয়ে হাইটেক রেলওয়ে স্টেশন থেকে অবরোধ প্রত্যাহার করেছে। আজ সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে অবরোধ প্রত্যাহার করেন শিক্ষার্থীরা। পরে দীর্ঘ ছয় ঘণ্টা পর ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।
জানা গেছে, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির (বিডিইউ) নাম পরিবর্তন করে গাজীপুর ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি নামকরণ করে গেজেট প্রকাশ করা হয়। তবে, এ নাম পরিবর্তন করে বাংলাদেশ ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি করার দাবি শিক্ষার্থীদের। তারা বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে নাম পরিবর্তন করে গেজেট প্রকাশ করতে হবে। এরপর শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন, মশাল মিছিলসহ নানা কর্মসূচি করেন। একাধিকবার ক্লাস বর্জনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন। এতেও তাদের দাবি আদায় হয়নি। পরে শিক্ষার্থীরা আজ সকাল ৮ টা ৫৫মিনিটে উপজেলার হাইটেক রেলওয়ে স্টেশনে সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে দেয়। এতে ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। পরে ৯টা ৪০ মিনিটে হজযাত্রী, নারী ও শিশু বেশি থাকায় ট্রেনটি ছেড়ে দেন। এরপর আবারও রেলপথ অবরোধ করেন তারা।
দুপুর পৌনে ২টার দিকে কালিয়াকৈর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন। শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে অবরোধ প্রত্যাহারের অনুরোধ করা হয়। কিন্তু ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তার আশ্বাস না পাওয়ায় অবরোধ প্রত্যাহার করেননি। পরে দুপুর ৩টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নুরুন আক্তার আশ্বাস দেন শিক্ষার্থীদের। এরপর অবরোধ প্রত্যাহার করেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী শহীদুজ্জামান বসুনিয়া জানান, তারা দীর্ঘদীন নাম পরিবর্তনের জন্য সড়ক অবরোধ করছিলেন। মশাল মিছিল, মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করছিলেন। দীর্ঘদিন আন্দোলন করার পরও তাদের দাবি পূরণ হয়নি।
হাইটেক রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার খাইরুল ইসলাম জানান, শিক্ষার্থীরা তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের দাবিতে সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন আটকেছিলেন। পরে তারা যাত্রীদের অনুরোধে ট্রেনটি ছেড়ে দিলেও রেলপথ ছাড়েননি। পরে যৌথবাহিনীর সদস্যরা আসেন। কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের সঙ্গে কথা বলেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম পরিবর্তনের আশ্বাস দেন।