বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সহসভাপতি রনি মিয়ার বাড়িতে ককটেল, পেট্রলবোমা হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সদর ইউনিয়নের আব্দুল বাহাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

এদিকে হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চার-পাঁচটি মোটরসাইকেলযোগে বাড়ির সামনে নেমে দুর্বৃত্তরা ককটেল ও পেট্রলবোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় বিকট শব্দে বাড়ির লোকজনসহ এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।  

যুবদলনেতা রনি বলেন, সাবেক যুবলীগনেতা ও বর্তমানে নাগরিক ঐক্যের নেতা অমিত, বিদ্যুৎ, এনামুল হক সরকার, পিয়াল, সাগর ও খোকনের নেতৃত্বে ৮ থেকে ১০ জন বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আমাকে হকিস্টিক দিয়ে মারতে থাকে। এতে আমার বাম হাত ভেঙে যায়। পরে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নিয়েছি। 

ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, হাতবোমা ও পেট্রলবোমা বিস্ফোরণে ঘরের কিছু অংশে আগুন জ্বলছে। এ ছাড়া ঘরের আশপাশে কয়েকটি অবিস্ফোরিত ককটেল পড়ে রয়েছে। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং অবিস্ফোরিত ককটেল নিষ্ক্রিয় করা হয়।

এদিকে যুবদলনেতার বাড়িতে হামলার ঘটনায় আমতলীতে মোকামতলা-জয়পুরহাট সড়ক ঘণ্টাব্যাপী অবরোধ করে রাখে বিক্ষুব্ধ বিএনপির নেতাকর্মীরা। 

এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মীর শাহে আলম বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসরদের নিয়ে নাগরিক ঐক্যের নামধারী নেতাকর্মীরা এ হামলা করে। বিএনপির ঘাঁটি শিবগঞ্জ উপজেলায় কোনো আওয়ামী লীগের দোসরের ঠাঁই হবে না।

একপর্যায়ে সহকারী পুলিশ সুপার নাজরান রউফ ঘটনাস্থলে গিয়ে অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে অবরোধ প্রত্যাহার করে বিএনপির নেতাকর্মীরা।