ব্যবসায়ীরা রোজার মাসে পুরো বছরের আয় করতে চায় : চসিক মেয়র

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ব্যবসায়ীরা চায় রাতারাতি ধনী হয়ে যেতে। রোজার এক মাসেই তারা পুরো বছরের আয় একসঙ্গে করতে পাগল হয়ে যায়।
সোমবার (৩ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের বৃহত্তম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় মেয়র এ কথা বলেন। এ সময় সঙ্গে ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) ফরিদা খানম।
মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘তারা (ব্যবসায়ী) চায় রাতারাতি ধনী হয়ে যেতে। রোজার এক মাসেই তারা পুরো বছরের আয় একসঙ্গে করতে পাগল হয়ে যায়। আমরা বাজার মনিটরিং করছি। এ মনিটরিং অব্যাহত থাকবে।’
চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে সিটি মেয়র বলেন, বাজারে অস্থিরতা কমাতে কঠোর অবস্থানে সিটি করপোরেশন। সারা পৃথিবীর মুসলিম রাষ্ট্রগুলোতে রোজা এলে ভর্তুকি দিয়ে পণ্য বিক্রি করে। কারণ তারা তা সওয়াব হিসেবে দেখে। আর আমাদের দেশে রোজা এলে ব্যবসায়ীদের মধ্যে এক ধরনের অস্থিরতা দেখা দেয়। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সুযোগ খোঁজে কীভাবে আরও টাকা ইনকাম (আয়) করা যায়। আজকে আমরা দেখছি এখানে ভোজ্য তেল উধাও হয়ে গেছে। ভোজ্য তেল কোনো জায়গায় পাওয়া যাচ্ছে না।
বাজার মনিটরিং করার কথা জানিয়ে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, কয়েকদিন ধরে সাধারণ মানুষের অভিযোগ ছিল ভোজ্যতেল বাজার থেকে উধাও হয়ে গেছে। আর যেগুলো বিক্রি হচ্ছে তা লিটার প্রায় ১৮০ থেকে ২০০ টাকার ওপরে। সে কারণে আজকে আমরা এখানে এসেছি। অভিযানে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অভিযানে এসে সত্যতা মিলেছে এখানে ভোজ্যতেল মোটেও পাওয়া যাচ্ছে না। ভোজ্যতেল যেগুলো দেখেছি সেগুলো ল্যাব টেস্টের জন্য নিয়েছি। এগুলো পরীক্ষা করে দেখা হবে; এগুলো আদৌ ভোজ্যতেল কিনা।
চসিক মেয়র বলেন, আমরা ব্যবসায়ীদেরকে বলছি—প্রত্যেকটা জায়গায় যাতে রেট চার্ট দেওয়া হয়। আমাদের জেলা প্রশাসক উনার ম্যাজিস্ট্রেটসহ এখানে আছেন। যদি কোনো ধরনের অসঙ্গতি আমরা দেখি-তাহলে জরিমানা ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘তেল ব্যবসায়ী, উৎপাদনকারীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে মঙ্গলবার বসব। তারা যাতে অনতিবিলম্বে বাজারজাত করে দাম কমিয়ে আনে। এ ব্যাপারে শক্তভাবে অ্যাকশন প্ল্যান নেওয়া হবে।’
পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামরুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাহবুবুল হক, সহকারী কমিশনার মো. ইসরাফিল জাহান, শাকিব শাহরিয়ার, রাইয়ান ফেরদৌস, ফারজানা রহমান মীম, আসিফ জাহান সিকদার, সুমন মণ্ডল অপু, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুমা আক্তার কণা ও কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল করিম প্রমুখ।