সামাজিক বাধা পেরিয়ে সফল উদ্যোক্তা কারিমা

পরিবার ও সমাজের নানা ধরনের বাধা পেরিয়ে একজন সফল নারী উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের কারিমা আক্তার। প্রায় ৫ বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘মাদার্স ক্রিয়েশন’ নামে একটি পেজ খুলে ঘরে বসেই শুরু করেন নিজের ব্যবসা। এরপর থেকে অনলাইনের মাধ্যমে অর্ডার নিয়ে কেক, পিজ্জা, ডোনাটসহ বিভিন্ন মানসম্মত খাবার তৈরি করে হোম ডেলিভারি দিয়ে আসছেন কারিমা। খাবারের গুণগত মান ও সেবার কারণে ক্রেতাদের আস্থা অর্জনে সফলও হয়েছেন তিনি।
কারিমা বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রুপসদী ইউনিয়নের কান্দাপাড়া গ্রামের মিন্টু মিয়া ও হালিমা বেগম দম্পতির ৭ সন্তানের মধ্যে ৫ম। তার এই পথচলা সমাজের অন্যান্য নারীদের জন্যও অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন। কারিমার সফলতার গল্প প্রমাণ করে স্বপ্ন দেখার সাহস এবং তা পূরণের অদম্য ইচ্ছাই মানুষকে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে দিতে পারে।
শুধু নিজে সফল হওয়াই নয়, কারিমা আক্তার নারীদের স্বাবলম্বী করতে নিয়েছেন উদ্যোগ। কেক ও অন্যান্য খাবার তৈরির কৌশল শেখাতে একটি ট্রেনিং সেন্টার চালু করেছেন। তার এই উদ্যোগ নারীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
তবে এই সফলতার পথ কখনোই সহজ ছিল না। ব্যবসার শুরুতে পরিবার এবং সমাজ থেকে তীব্র বাধার সম্মুখীন হতে হয় তাকে। মেয়েদের জন্য ব্যবসা করা কঠিন, এই প্রচলিত ধ্যানধারণা ভেঙে তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন যে ইচ্ছাশক্তি আর পরিশ্রম থাকলে কোনো বাধাই অপ্রতিরোধ্য নয়। সামাজিক প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে তিনি আজ একজন সফল নারী উদ্যোক্তা।
নারী উদ্যোক্তা কারিমা আক্তার এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ছোট বেলা থেকেই নিজে কিছু করার স্বপ্ন দেখতাম। প্রায় ৬ বছর আগে ইউটিউবে ভিডিও দেখে ও একটি কোর্স করে কেকসহ বিভিন্ন খাবার তৈরির প্রশিক্ষণ নেই। এরপর ২০২০ সালে ফেসবুক পেজের মাধ্যমে ঘরে বসেই ব্যবসা শুরু করি এবং ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হই।
কারিমা আরও বলেন, শুরুটা মোটেও সহজ ছিল না। পরিবার এবং সমাজের নানা বাধা ও সমালোচনা মোকাবিলা করতে হয়েছে। তবে নিজের স্বপ্ন আর ইচ্ছাশক্তি আমাকে এগিয়ে যেতে সাহস জুগিয়েছে। সবার সহযোগিতা ও ভালবাসা পেলে আরও বড় পরিসরে কাজ করতে চাই।