ছয় ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর মুক্ত ডা. প্রাণ গোপালের মেয়ে

বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) সহযোগী অধ্যাপক ডা. অনিন্দিতা দত্তকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে উদ্ধার করে বাসায় পৌঁছে দিয়েছেন সেনা সদস্যরা। অনিন্দিতা বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্তের মেয়ে।
আজ রোববার (১৬ মার্চ) বেলা আড়াইটার পর সেনা সদস্যরা ডা. অনিন্দিতাকে ধানমন্ডিতে তার বাসায় পৌঁছে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু নোমান মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দীন।
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের পরিচালক আবু নোমান মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দীন বলেন, ‘বেলা আড়াইটার পর সেনাবাহিনীর সদস্যরা ডা. অনিন্দিতা দত্তকে বাসায় পৌঁছে দিয়েছেন। আমি যতদূর জেনেছি আমাদের প্রশাসন আর্মি কল করেছিল। এছাড়া পুলিশও এসেছিল ঘটনাস্থলে। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ওই চিকিৎসককে হাসপাতাল থেকে বের করে ধানমন্ডি পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছেন।’ এর আগে সকাল ৮টায় অফিসে আসার পর থেকে এক দল লোক অনিন্দিতা দত্তকে ক্যানসার ভবনে তার কার্যালয়ে আটকে রেখেছিলেন।
দুপুরে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ডা. শেখ ফরহাদ বলেন, ‘প্রাণ গোপাল স্যারের মেয়ে এখানে চাকরি করেন। তাকে এখানে আটক করা হয়েছে। কারা কারা যেন মিডিয়াও নিয়ে এসেছে। আমরাও উনার সঙ্গে বন্দি হয়ে আছি এখানে। ঘটনাস্থলে আর্মিও এসেছে। আমরাও ঝামেলায় আছি। পরে বিস্তারিত জানাতে পারব।’
উল্লেখ্য, ডা. অনিন্দিতা দত্তের বাবা অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল ২০০৯ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তৎকালীন বিএসএমএমইউ (বর্তমান বিএমইউ) এর উপাচার্য ছিলেন। ২০২১ সালে তিনি কুমিল্লা-৭ আসনের উপনির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি শেখ হাসিনার স্বাস্থ্য উপদেষ্টাও ছিলেন।
বিএমইউ এর একজন চিকিৎসক বলেছেন, ৫ আগস্ট ক্ষমতার পালাবদলের পর ডা. প্রাণ গোপাল দত্তের বিরুদ্ধে ঢাকা ও কুমিল্লায় কয়েকটি মামলা হয়েছে। সেসব মামলায় আসামি করা হয়েছে অনিন্দিতা দত্তকেও। আওয়ামী লীগ সরকারে পতনের পর থেকে অনিন্দিতা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছিলেন না। দুদিন ধরে তিনি আসতে শুরু করেছিলেন।