রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গত বছর সশস্ত্র গোষ্ঠীর সংঘাতে নিহত ৬৫

রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়া প্রতিদ্বন্দ্বী বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে প্রায় সময় সংঘাত ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসব সংঘর্ষে গত বছর অন্তত ৬৫ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা ফরটিফাই রাইটস৷
ফরটিফাই রাইটসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারে সামরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে ২০১৭ সালে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন৷ বর্তমানে বিভিন্ন শিবিরে ১২ লাখের মতো শরণার্থী অবস্থান করছেন।
মানবাধিকার সংস্থাটি জানিয়েছে, রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তারের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা), রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গ্যানাইজেশন (আরএসও) ও বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী৷
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে এই গোষ্ঠীগুলোর সৃষ্ট সহিংসতায় ৯০ জন নিহত হন৷ অবশ্য ২০২৪ সালে এ রকম সংঘাতে নিহতের সংখ্যা কমে ৬৫-তে নেমে এসেছে৷
এ ছাড়া, অপহরণ, চাঁদাবাজি ও হামলার বেশ কিছু ঘটনা নথিভুক্ত করেছে মানবাধিকার সংস্থাটি৷
ফরটিফাই রাইটসের পরিচালক জন কুইনলি মঙ্গলবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে প্রায় সম্পূর্ণ দায়মুক্তভাবে তাণ্ডব চালাচ্ছে৷ শুধু তাদের সদস্যরাই নয়, সাধারণ শরণার্থীরাও এর ভুক্তভোগী হচ্ছেন৷’
সংস্থাটি বাংলাদেশ সরকারকে শরণার্থী শিবিরে চলমান সহিংসতার যথাযথ তদন্ত এবং দোষীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে৷ পাশাপাশি তারা মনে করছেন, কিছু ঘটনা যুদ্ধাপরাধের পর্যায়ে পড়তে পারে, যা আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারযোগ্য৷
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সম্প্রতি কক্সবাজারের শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেছেন এবং রোহিঙ্গাদের সহায়তা অব্যাহত রাখার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন৷