জয়পুরহাটে থানা ঘেরাও, হামলায় পুলিশসহ আহত ৭

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে থানা ঘেরাও ও হামলা হয়েছে। এ সময় পুলিশসহ সাতজন আহত হন। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে।
আহতরা হলেন—পৌর এলাকার শাখারুঞ্জ গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন (৩৫), একই গ্রামের আমিরুল ইসলাম (২৭), বগুড়ার শাহজাহানপুরের রফিক (৩৭) ও আব্দুল মমিন (৩৮) এবং দুই পুলিশ সদস্য কাজী জাফর ও সুমন। সেনাবাহিনীর লাঠিচার্জে আহত হন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক।
থানা-পুলিশসূত্রে জানা যায়, থানায় পুলিশ হেফাজতে থাকা তিন বিএনপি নেতা-কর্মীকে ছাড়াতে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক এবং উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী আশিক পার্থের নেতৃত্বে থানা ঘেরাও করা হয়। দায়িত্বরত দুই পুলিশ সদস্য বাঁধা দিলে তাদের মেরে আহত করা হয়। পুলিশ সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ চায়। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করে সেনাবাহিনী। জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল ওয়াহাবের নেতৃত্বে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত ফোর্স, জেলা গোয়েন্দা শাখা ও কালাই থানা-পুলিশের শতাধিক সদস্য থানায় অবস্থান নেয়।
আহত রফিক সাংবাদিকদের বলেন, পৌর এলাকার শাখারুঞ্জ গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন জমি রেজিস্ট্রির জন্য ক্ষেতলাল উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে আসেন। এসময় স্থানীয় পৌর বিএনপির ৯ নং ওয়ার্ডের সভাপতি কবির চৌধুরীর নেতৃত্বে বিএনপিকর্মী মাসুদ চৌধুরী, গোলাম মওলা ও জুয়েল সেখানে উপস্থিত হয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অপারগতা জানালে তারা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী আশিক পার্থকে জানান। তিনি সেখানে উপস্থিত হয়ে চাঁদা না দিলে দলিল রেজিস্ট্রি করতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দেন। এসময় তোফাজ্জলসহ তার চার আত্মীয়কে মারধর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশ থানা থেকে তোফাজ্জলকে গুরুতর আহত অবস্থায় ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে।
থানায় পুলিশ হেফাজতে থাকা বাকি তিনজনকে ছাড়াতে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী আশিক পার্থের নেতৃত্বে শতাধিক লোকজন থানায় হামলা করে দায়িত্বরত দুজন পুলিশ সদস্যকে আহত করে থানা অবরুদ্ধ করে রাখে।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি খালেদুল মাসুদ আঞ্জুমান বলেন, দলের যেই হোক না কেন, যে অপরাধ করবে তার শাস্তি হবে।
এ বিষয়ে ক্ষেতলাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। অভিযান অব্যাহত আছে।