মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসিব নামের এক অটোরিকশাচালকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ৩০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

গতকাল মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাতে উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্র এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত  অটোরিকশাচালক চনপাড়া এলাকার হাসিব চনপাড়া যুবদল নেতা বাবুর ছোট ভাই।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে চনপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মনির দেওয়ান ও স্বেচ্ছাসেবক দলের রব্বানীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেৎ বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে বুধবার সকালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয়পক্ষই গুলিবর্ষণ করে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবদলের কর্মী হাসিব নিহত হয়৷ এ সময় উভয় পক্ষের আরও ৩০ জন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে গুলিবিদ্ধদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় চনপাড়া এলাকাজুড়ে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।

নিহতের বড় ভাই যুবদল কর্মী বাবু বলেন, ‘গত মঙ্গলবার রাতে মাদক ব্যবসায়ী রবিনকে এলাকার কয়েকজন আটক করে। এ সময় কায়েতপাড়া ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক দলের কর্মী রব্বানী ও তার লোকজন এসে তাকে ছাড়িয়ে নেয়। পরে তারা লোকজন নিয়ে সকালে আমাদের ওপর হামলা চালায় এতে আমার ছোট ভাই হাসিব গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। আমার ভাই হত্যার বিচার চাই।’

এ বিষয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শামীম বলেন, ‘আমি এলাকায় নেই। শুনেছি রবীন নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করায় কায়েতপাড়া ইউনিয়ন সেচ্ছাসেকদলের কর্মী রব্বানীর লোকজন আমার যুবদলের কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। এ সয়ম ঘটনাস্থলেই যুবদল নেতা বাবুর ছোট ভাই হাসিব মারা যায়। এ ঘটনায় তার পরিবার আইনি ব্যবস্থা নেবে।’

এ বিষয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা শুনেছি। রব্বানী আমার সঙ্গে সেচ্ছাসেবক দল করে। এ ব্যাপারে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

নারায়ণগঞ্জ (গ সার্কেল) সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মেহেদী হাসান বলেন, ‘গতকাল রাতে চনপাড়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটে। এতে হাসিব নামে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। পরে ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। দোষী ব্যক্তি যেই হোক, কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।’