সিলেটে চোর সন্দেহে যুবককে গণধোলাই-ঘরবাড়ি ভাঙচুর, গ্রেপ্তার ৫

সিলেটে চোর সন্দেহে আব্দুল আহাদ (৪০) নামের এক যুবককে গণধোলাই ও তার বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনায় বিশ্বনাথ থানায় মামলা হয়েছে। আজ বুধবার (১৯ মার্চ) সাতজনের নাম উল্লেখ করে ভুক্তভোগী আব্দুল আহাদের স্ত্রী রাহিমা বেগম এ মামলা করেন। এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাতে ঘটনা উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের রাজাগঞ্জ বাজারের গুচ্ছগ্রামে চোর সন্দেহে আব্দুল আহাদকে গণধোলাইয় দেয়। এরপর উত্তেজিত জনতা তার বাড়িঘর ভাঙচুর করে। রাত সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ গুরুতর আহত অবস্থায় আব্দুল আহাদকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ তাৎক্ষণিক পাঁচজনকে আটক করে। তারা হলেন—উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের রহিমপুর গ্রামের শাহান শাহ (২৫), শফিউর রহমান (২৩), ইমরান মিয়া (২৬), মিলাদ উদ্দিন (২০) ও মারুফুল ইসলাম (২১)।
আজ মামলার সময় ভুক্তভোগীর স্ত্রী আটক হওয়া পাঁচ জনসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ মার্চ রহিমপুর মাইজপাড়া জামে মসজিদের ইমামের ল্যাপটপ, মোবাইলফোনসহ মূল্যবান কিছু জিনিস চুরি হয়। এতে স্থানীয় এলাকাবাসী আব্দুল আহাদকে সন্দেহের বশে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের রাজাগঞ্জ বাজার সংলগ্ন গুচ্ছগ্রামে তার দ্বিতীয় স্ত্রীর বসতঘরে তাকে পেয়ে মারধর করেন। বসতঘর ভাঙচুর করেন। পরে তাকে নিজ গ্রাম রহিমপুরে নিয়ে গিয়ে বেঁধে রাখা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
মামলার বাদী রহিমা বেগম জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরে তার স্বামীকে চোরের অপবাদ দিয়ে অমানবিক নির্যাতন ও বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। তার স্বামী ডান চোখ ও মাথায় মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন।
বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী বলেন, চোর ধরার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত অবস্থায় একজনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। মামলার পর তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।