ডিজিএফআইয়ের কার্যক্রম সীমিত ও আনসার-ভিডিপির ওপর সামরিক কর্তৃত্ব বন্ধ করতে হবে : টিআইবি

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবির) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, বাংলাদেশে একটি নজরদারিভিত্তিক সমাজে পরিণত করা হয়েছে। ডিজিএফআইয়ের ম্যান্ডেট হচ্ছে নিরাপত্তা সংক্রান্ত গোয়েন্দা প্রতিষ্ঠান, এটা মানুষের অধিকার সংক্রান্ত দায়িত্ব পালনের জন্য নয়। এই ডিজিএফআইয়ের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ করতে হবে। একইভাবে আনসার-ভিডিপির ওপর যে সামরিক কর্তৃত্ব তা বন্ধ করতে হবে। আজ বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে রাজধানী ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এই নজরদারির ক্ষেত্রে জাতিসংঘ তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করে, বিশেষ করে মানুষের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হয়, এ ধরনের নজরদারি থেকে আমাদের রাষ্ট্রকে সরে আসতে হবে। তিনি বলেন, ডিজিএফআইয়ের ম্যান্ডেট হচ্ছে নিরাপত্তা সংক্রান্ত গোয়েন্দা প্রতিষ্ঠান, এটা মানুষের অধিকার সংক্রান্ত দায়িত্ব পালনের জন্য নয়। এই ডিজিএফআইয়ের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ করতে হবে। একইভাবে আনসার-ভিডিপির ওপর যে সামরিক কর্তৃত্ব তা বন্ধ করতে হবে।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আমরা অবশ্যই বলেছি ঢালাওভাবে বিচার করতে হবে, আওয়ামী লীগ আমলে যারা নেতৃত্বে ছিলেন তাদের বিচার করতে হবে। আওয়ামী লীগের পেছনের শক্তিগুলোকে কোনো অবস্থায় ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, জাতিসংঘের প্রতিবেদনে প্রস্তাব করা হয়েছে, সেনাবাহিনী, ডিজিএফআই, র্যাব, পুলিশ, আনসার ও বিজিবির যেসব সদস্যকে ২০২৪ সালের সহিংসতায় সম্পৃক্ত করা হয়েছিল, তাদের কোনো অবস্থাতেই যেন শান্তি মিশনে পাঠানো না হয়।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, আমাদের নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমের স্বাধীন পরিবেশের ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়েছে জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনে। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং সহিংসতা বিষয়ক জাতিসংঘ প্রতিবেদনের সুপারিশ বাস্তবায়নে একটি রোডম্যাপ প্রণয়ন করার দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সমন্বয়ক তামান্না হক রীতি, ব্লাস্টের পরিচালক মো. বরকত আলী, নারীপক্ষের সদস্য রওশন আরা ও নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।