মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ করে সফল বাবা-ছেলে

মালচিং পদ্ধতিতে সবজি উৎপাদন করে সফল হয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা পৌরসভার আড়াইবাড়ী গ্রামের বাবা আনিসুর রহমান ও তার অনার্স পড়ুয়া ছেলে ইমন কবির। গত বছরের ডিসেম্বরে কৃষি অফিসের পরামর্শে দুই একর জায়গা বর্গা নিয়ে উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড জাতের টমেটো, শসা, কাঁচা মরিচ ও বেগুন চাষ করে ইতিমধ্যেই সফল হয়েছেন তারা।
বর্তমানে তাদের জমির সবজি যাচ্ছে স্থানীয় বাজারসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। বর্তমানে প্রতিদিনই কয়েক মন সবজি হারভেস্ট হচ্ছে তাদের জমি থেকে। সবমিলিয়ে দুই থেকে তিন লাখ টাকা খরচ হলেও ইতিমধ্যেই পাঁচ লাখ টাকা ও এভাবে চলতে থাকলে সাত থেকে আট লাখ টাকা বিক্রির আশা করছেন কৃষক আনিসুর রহমান।
বাবার থেকেই ছোট থেকে দেখে সবজি চাষ শিখেছেন ছেলে ইমন কবির। তিনি বলেন, রমাজান মাসকে টার্গেট করেই উচ্চ ফলনশীল জাতের টমেটো, শসা, কাঁচা মরিচ ও বেগুন চাষ করেছেন তারা। গত ডিসেম্বরে চারা রোপন করে ফেব্রুয়ারির শেষ দিকেই হারভেস্ট শুরু করেন।
বর্তমানে বাবা ছেলের এই জমিতে কাজ করে নিজেদের ও পরিবারের ভোরণ পোষণ যোগাচ্ছেন চার থেকে পাঁচজন শ্রমিক। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত কাজ করেন তারা।
মালচিং পদ্ধতি ব্যবহারে খরচ কম ও উৎপাদন বেশি হয়। কৃষকদের এ পদ্ধতিতে চাষাবাদে উৎসাহিত করে উপজেলা কৃষি অফিস, পাশাপাশি সবজি চাষে পোকা নিধনের জন্য ইয়োলো ট্রেপ ব্যবহারের ও পরামর্শ দিয়েছিলেন কৃষি অফিস।
বাবা আনিসুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, রমজান মাসকে টার্গেট করে উচ্চ ফলনশীল সবজির চাষ করেছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ ভালো লাভ পাচ্ছি। এভাবে চলতে থাকলে সাত থেকে আট লাখ টাকা বিক্রি করতে পারব।
জেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আল আমিন বলেন, মালচিং পদ্ধতিতে চাষ করলে পোকা মাকড়ের উপদ্রব কম থাকে। কীটনাশকের পরিমাণ কম লাগে। কৃষক আনিসুর রহমানের জমিতে ইয়োলো ট্রেপ ব্যবহার করায় পোকা দমনে কার্যকরী সমাধান পেয়েছেন। কৃষি অফিস থেকে সবসময় তাদের প্রযুক্তিগত সহায়তাসহ সার ও বীজ দেওয়া হয়।