অনুমান নির্ভর সুপারিশ করিনি, যা করেছি তথ্য নির্ভর: গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন

প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন। আজ শনিবার (২২ মার্চ) দুপুরে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্যরা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে তাদের প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন।
প্রতিবেদন হস্তান্তরের পরে প্রেস ব্রিফিং করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক কামাল আহমেদ, প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলমসহ কমিশনের সদস্যরা।
কামাল আহমেদ বলেন, ‘আমরা আমাদের সাধ্যমতো সুপারিশ করেছি। আমরা কোনো অনুমান নির্ভর বা কান কথা শুনে সুপারিশ করিনি, যা করেছি তথ্য নির্ভর।’
কামাল আহমেদ আরও বলেন, ‘সারা দেশে অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি। যারা গণমাধ্যমের স্বার্থ নিয়ে কাজ করেন তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। ১৪০০ লোকের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি।’
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, গণমাধ্যমের যে অবস্থা তৈরি হয়েছে তা একদিনে হয়নি, এটা দীর্ঘদিনের। তাই আমরা চেষ্টা করেছি কোথায় কোথায় সমস্যা তা বের করা ।
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান আরও বলেন, ‘আমরা দেখেছি সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে গণমাধ্যমের নিউজ রুমের নেতৃত্বের পরিবর্তন হয়েছে। আমরা দেখছি এক পত্রিকা আরেক পত্রিকার বিরুদ্ধে কথা বলছে। কেন বলছে? জনসার্থে বলছে নাকি নিজেদের কোনো উদ্দেশ্য আছে।’

জ্যেষ্ঠ এই সাংবাদিক বলেন, ‘আমরা সুপারিশ করেছি মালেশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের গণমাধ্যম, সেখানে সংবাদ মাধ্যমগুলো পাবলিক লিস্টেট করা। কর্মীরাও শেয়ার কিনতে পারেন। আমরা তা সুপারিশ করেছি।’
ওয়ান হাউজ ওয়ান মিডিয়া হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, একজন একাধারে পত্রিকা-টেলিভিশনের মালিক হবেন না। যাদের আছে তারা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি কোনটি রাখবেন।
কামাল আহমেদ বলেন, ‘সাংবাদিকদের নিরাত্তার বিষয়ে আমরা সুপারিশ করেছি। এর জন্য একটি মিডিয়া কমিশন গঠনের কথা বলেছি। এছাড়া আর্থিক বিষয়ও বিবেচনায় রেখেছি। আমরা সাংবাদিকদের এন্ট্রি লেভেলে বিসিএস ৯ম গ্রেড সমমানের বেতন দেওয়ার সুপারিশ করেছি। শহরের জীবনযাত্রার মান বিবেচনায় রাখতে হবে।
এর আগে প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দেয় গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন।