মুন্সীগঞ্জে ৮ হিমাগারকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা

পরিবেশের ছাড়পত্র না থাকায় মুন্সীগঞ্জের আটটি হিমাগারকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আওতাধীন পরিবেশের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট ও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম এ জরিমানা আরোপ করেন। আজ শনিবার (২২ মার্চ) দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত জেলার মুক্তারপুর ও মিরেশ্বরাই এবং জেলার টঙ্গীবাড়ি উপজেলার বেতকা ও সলিমাবাদ এলাকায় অভিযান চালানো হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ কেমিস্ট মো. সানোয়ার হোসেন। এ সময় পাঁচটি হিমাগার জরিমানার টাকা পরিশোধ করে। অপর তিনটি হিমাগার জরিমানার টাকা পরিশোধ না করায় ম্যানেজারদের ৪০ দিনের কারাদণ্ডের পরোয়ানা জারি করা হয়।
আদালতের ভারপ্রাপ্ত বেঞ্চ সহকারী মো. জাকির হোসেন জানান, পরিবেশের ছাড়পত্র ছাড়াই হিমাগার পরিচালনা করায় এলাইড কোল্ড স্টোরেজের ম্যানেজার মো. আতাউল, বরিভারভিউ কোল্ড স্টোরেজের ম্যানেজার রেজাউল করিম, বিক্রমপুর মাল্টিপারপাস কোল্ড স্টোরেজের ম্যানেজার আব্দুর রশিদ শেখ ও মিরেশ্বরাই এলাকার নিপ্পন আইস অ্যান্ড স্টোরেজের ম্যানেজার মনোরঞ্জন সাহাকে দুই লাখ টাকা করে জরিমানা করেন পরিবেশের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট।
এ ছাড়া একই অপরাধে জেলার টঙ্গীবাড়ি উপজেলার বেতকা বাজারের এ্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যান্ড কোল্ড স্টোরেজের ম্যানেজার রাকিবুল হাসান দৌলত, বেতকা কোল্ড স্টোরেজের ম্যানেজার জি এম জাকারিয়া ও একই উপজেলার সলিমাবাদ এলাকার পপুলার ফুড অ্যান্ড এলাইড ইন্ডাস্ট্রিজের ম্যানেজার মীর আনোয়ার হোসেন ও রামিশা কোল্ড স্টোরেজের ম্যানেজার ইমরান হাসান নাদিমকে দুই লাখ টাকা করে জরিমানা করেন।
এদিকে পাঁচটি হিমাগারের ম্যানেজার জরিমানার টাকা পরিশোধ করেছে। তবে তিনটি হিমাগারের ম্যানেজার জরিমানার টাকা পরিশোধ করেনি। এতে এলাইড কোল্ড স্টোরেজ রিভারভিউ কোল্ড স্টোরেজ ও এ্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যান্ড কোল্ড স্টোরেজের ম্যানেজারের বিরুদ্ধে ৪০ দিনের কারাদণ্ডের আদেশ জারির নির্দেশ দিয়েছেন পরিবেশের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট ও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম।