চাঁদপুরে অর্ধশত গ্রামে উদযাপিত হচ্ছে ঈদ

সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের অর্ধশত গ্রামে পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। আজ রোববার (৩০ মার্চ) সকাল থেকে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরীফসহ জেলার প্রায় অর্ধশত গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হচ্ছে।
যেসব এলাকায় ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে, সেগুলো হলো—চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, প্রতাপুর, বাসারা, ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর, কামতা, গল্লাক, ভুলাচোঁ, সোনাচোঁ, উভারামপুর, উটতলি, মুন্সিরহাট, কাইতাড়া, মূলপাড়া, বদরপুর, আইটপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, পাইকপাড়া, নূরপুর, সাচনমেঘ, শোল্লা, হাঁসা, গোবিন্দপুর, মতলব উত্তর উপজেলার দশানী, মোহনপুর, পাঁচানী এবং কচুয়া ও শাহরাস্তি উপজেলার কয়েকটি এলাকাসহ অর্ধশত গ্রাম।
ঈদের প্রথম জামায়াত হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরীফ মাঠে রোববার সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হয়। এই জামায়াতে ইমামতি করেন পীরজাদা মাওলানা মুফতি জাকারিয়া চৌধুরী।
জাকারিয়া চৌধুরী বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও দুই ঈদ পালনের প্রবর্তক মাওলানা ইসহাক (রহ.)। ১৯২৮ সাল থেকে সাদ্রা দরবার শরিফের পীর সৌদি আরবসহ অন্য আরব দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপনের প্রথা চালু করেন। এ ছাড়া মরহুম পীর মাওলানা ইসহাকের (রহ.) অনুসারী মুসল্লিরাও চাঁদপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় একইসঙ্গে ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন।

এদিকে, ঈদের দ্বিতীয় জামায়াত সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসা মাঠে রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন মাওলানা মুফতি আরিফ চৌধুরী।
ঈদের নামাজ আদায় করেত আসা বৃদ্ধ আব্দুর রব বলেন, ‘ইতোপূর্বে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে আমার বাবা-চাচারা ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। এখন আমরাও একসঙ্গে রোজা ও ঈদ উদযাপন করি। আমাদের কাছে এটাই সঠিক নিয়ম মনে হয়।’