মডেল মেঘনাকে আটকের বিষয়ে যা জানাল ডিএমপি

রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে মিস আর্থ বাংলাদেশ বিজয়ী মেঘনা আলমকে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তাকে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্ক মিথ্যাচার ছড়ানোর মাধ্যমে আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক অবনতির অপচেষ্টা এবং দেশকে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিএমপি।
আজ শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বেলা ১টার দিকে ডিএমপির জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার তালেবুর রহমান সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্ক মিথ্যাচার ছড়ানোর মাধ্যমে আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক অবনতির অপচেষ্টা এবং দেশকে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে মেঘনা আলমকে সব আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়েছে। তাকে অপহরণ করার অভিযোগ সঠিক নয়। তথাপি আইনের আশ্রয় নেওয়ার অধিকার তার রয়েছে।’
মিস আর্থ বাংলাদেশ বিজয়ী মডেল মেঘনা আলমকে ডিটেনশন আইনে ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সেফাতুল্লাহ এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মডেল মেঘনাকে আদালতে হাজির করে আটক রাখার আবেদন করে ডিবি পুলিশ। পরে আদালত আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
আদেশে বলা হয়, ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২ (এফ) ধারার জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী ক্ষতিকর কার্য থেকে নিবৃত্ত করার জন্য এবং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে আবশ্যক অনুভূত হওয়ায় ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩(১) ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে মেঘনা আলমকে কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এই আটকাদেশ স্বাক্ষরের তারিখ থেকে ৩০ দিন কারাগারে আটক রাখার আদেশ প্রদান করা হলো।
পরে মেঘনা আলমকে গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে গত বুধবার সন্ধ্যায় মেঘনা আলম ফেসবুক লাইভে জানান, পুলিশ পরচয়ধারী কয়েকজন তারা ফ্ল্যাটের ‘দরজা ভেঙে’ ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করছেন। এর মাঝেই হঠাৎ লাইভটি বন্ধ হয়ে যায়। ১২ মিনিটের বেশি সময় ধরে চলা লাইভটি এরপর ডিলিটও হয়ে যায়।
২০২০ সালের ৫ অক্টোবর ‘মিস আর্থ বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন মেঘনা আলম। পরিবেশকে রক্ষা করতে ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক দিয়ে নতুন পণ্য বানিয়ে এবং তা বিক্রয়ের মাধ্যমে উদ্যোক্তা তৈরি করে নারীদের স্বাবলম্বী করার প্রচেষ্টায় এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।