আগামী বছরের মধ্যেই অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা চুক্তি চূড়ান্ত করতে চায় বাংলাদেশ-ইইউ

আগামী বছরের মধ্যেই (২০২৬ সাল) অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা চুক্তি (পিসিএ) নিয়ে আলোচনা শেষ করতে একটি গঠনমূলক ও দূরদর্শী সংলাপ বজায় রাখতে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অবস্থিত ইইউ সদর দপ্তরে বৃহস্পতিবার পিসিএ আলোচনার প্রথম দফায় এই প্রতিশ্রুতি এসেছে।
বৈঠকে উভয় পক্ষ বৈদেশিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, শাসনব্যবস্থা, জলবায়ু কর্মসূচি, ডিজিটাল রূপান্তর ও সংযোগ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা করেছে।
পিসিএ বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্কের জন্য একটি আধুনিক, বিস্তৃত আইনি কাঠামো প্রতিষ্ঠা করতে চায়, যার লক্ষ্য বহুমুখী খাতে সহযোগিতা আরও গভীর করা এবং বৈশ্বিক উন্নয়ন ও আসন্ন চ্যালেঞ্জগুলোর সঙ্গে ভবিষ্যতের সম্পৃক্ততাকে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা।
ইইউর মতে, চুক্তিটি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য একটি হালনাগাকৃত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভিত্তি তৈরি করবে, যা বর্তমান বাস্তবতা মোকাবিলা ও দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতা নিশ্চিত করার জন্য আরও উপযুক্ত।
আলোচ্যসূচিতে অন্যান্য বিষয়গুলো মধ্যে ছিল- স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, অভিবাসন, দক্ষতা উন্নয়ন, টেকসই উন্নয়ন, মানবাধিকার, মানবিক সহায়তা, সন্ত্রাসবাদ দমন এবং শান্তি ও নিরাপত্তা।
সংলাপে উভয় পক্ষের মধ্যে একটি উন্নত ও অর্থবহ অংশীদারিত্ব ভাগাভাগি করার আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হয়েছে।
আলোচনার তাৎপর্য তুলে ধরে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাংলাদেশ ইইউ’র সঙ্গে পিসিএ স্বাক্ষরকারী প্রথম দক্ষিণ এশীয় দেশ হওয়ার পথে রয়েছে।
প্রথম দফা আলোচনায় প্রধান আলোচক হিসেবে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) মো. নজরুল ইসলাম। ইইউর পক্ষের নেতৃত্ব দেন ইউরোপীয় বহিরাগত কর্মপরিষেবার এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক পাওলা পাম্পালোনি।
আলোচনায় ইইউতে বাংলাদেশের মিশন প্রধান খন্দকার মাসুদুল আলমসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সরকারি সংস্থার কর্মকর্তারা সশরীরে ও ভার্চুয়ালি অংশ নেন।
পরবর্তী দফা আলোচনা পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ও ইইউ ২০২২ সালের নভেম্বরে ঢাকায় তাদের প্রথম আনুষ্ঠানিক রাজনৈতিক সংলাপ শুরু করে, যা কৌশলগত ও বিষয়ভিত্তিক খাতে সহযোগিতা সম্প্রসারণ হিসেবে চিহ্নিত। ২০২৩ সালে উভয় পক্ষের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপনের সময় এটি মাইলফলক হয়।