তাজুল ইসলামের জমিসহ ২৮ কোটি টাকার সম্পদ ফ্রিজ

সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের নামে থাকা ঢাকা, কুমিল্লা ও নারায়ণগঞ্জে ২৮ দশমিক ৬৩ বিঘা জমি, কুমিল্লায় দুটি বাণিজ্যিক স্পেস, একটি ফ্ল্যাট ও একটি দোকান ফ্রিজের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার (১৩ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।
এদিন দুদকের উপসহকারী পরিচালক আবু মোহাম্মদ আনোয়ারুল মাসুদ সাবেক মন্ত্রী তাজুল ইসলামের সম্পদ অবরুদ্ধের আবেদন করেন। তাজুল ইসলামের ফ্রিজ করা সম্পত্তির মধ্যে তার নিজ ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ৩৪টি ব্যাংক হিসাবে জমা করা ২০ কোটি ৫৬ লাখ ১ হাজার ২৩৭ টাকা রয়েছে। একইসঙ্গে অবরুদ্ধ করা হয়েছে ১৬টি কোম্পানিতে থাকা তার ৫ কোটি ২৩ লাখ ১১ হাজার ২৩০ টাকা মূল্যের শেয়ার এবং ২ কোটি ৬০ লাখ ৪৫ হাজার ৮৪১ টাকা মূল্যের তিনটি গাড়ি। সবমিলিয়ে মোট অবরুদ্ধের আদেশ দেওয়া অস্থাবর সম্পদের মূল্য ২৮ কোটি ৩৯ লাখ ৫৮ হাজার ৩০৮ টাকা।
দুদকের আবেদনে বলা হয়, সাবেক মন্ত্রী তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৭ কোটি ৮০ লাখ ২০ হাজার ৯৩৭ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রেখে এবং নিজ ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে ৩৪টি ব্যাংক হিসাবে ৭৩ কোটি ৬২ লাখ ৪০ হাজার ৪৩৯ টাকা জমা, ৬৬ কোটি ১২ লাখ ৫৭ হাজার ৬৭৮ টাকা উত্তোলনসহ মোট ১৩৯ কোটি ৭৪ লাখ ৯৮ হাজার ১১৭ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন করে মানিলন্ডারিংয়ের সম্পৃক্ত অপরাধ সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন করার উদ্দেশ্যে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করায় দুর্নীতি দমন কমিশন একটি মামলা দায়ের করে।
আবেদনে আরও বলা হয়, মামলা তদন্তকালে রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা গেছে, আসামির নামীয় ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চলতি হিসাব, সঞ্চয়ী হিসাব, এফডিআরসহ অন্যান্য হিসাবের অর্থ এবং স্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাতের প্রচেষ্টা করছেন। মামলা নিষ্পত্তির আগে নিম্নবর্ণিত সম্পত্তি হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে ক্ষতির কারণ রয়েছে। এজন্য এসব অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ ও স্থাবর সম্পত্তি জব্দের আদেশ দেওয়া একান্ত প্রয়োজন।