এবারের শোভাযাত্রা বাংলাদেশের প্রাণের উৎসব : সংস্কৃতি উপদেষ্টা

বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপনে এবারের শোভাযাত্রাকে শুধু বাঙালির নয়, বরং বাংলাদেশের প্রাণের উৎসব হিসেবে অভিহিত করেছেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
আজ সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলায় ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রায়’ অংশ নিয়ে গণমাধ্যমের সামনে তিনি এ কথা বলেন।
সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, নববর্ষের উৎসবকে আমরা অনেকদিন বাঙালির প্রাণের উৎসব বানিয়ে রেখেছি। এটা শুধু বাঙালির প্রাণের উৎসব আর নয়, এটা বাংলাদেশের প্রাণের উৎসব। বাঙালি, চাকমা, মারমা ও গারোসহ সকল জাতিগোষ্ঠী বর্ষবরণ পালন করে। ফলে আমরা এটাকে আমরা বাংলাদেশের উৎসব হিসেবে পালন করা শুরু করলাম।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী আরও বলেন, আমি মনে করি এটা বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐক্য এবং সম্মিলনের একটি বড় ধাপ। আমরা হয়ত ২০ থেকে ৩০ বছর পর থাকব না, কিন্তু আজকের বছরটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে। কারণ এরপর থেকে বাংলাদেশ এভাবেই চলবে।
এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ বলেন, এবারের প্রেক্ষাপটে ভিন্ন। একটু মুক্ত পরিবেশে আমরা একত্র হয়েছি। কিছু বাধা-ষড়যন্ত্র ছিল। তবে আমরা আল্লাহর সাহায্য নিয়ে প্রতিকূলতা অতিক্রম করেছি। আজকের দিনে কারো প্রতি বিরোধ নেই। পেছনে তাকাচ্ছি না, সামনে তাকাচ্ছি। আমাদের সামনে নতুন সুযোগ এসেছে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড, জাতি, ধর্ম, পেশা সকল ক্ষেত্রে যত অবারিত অন্তর্ভুক্তিমূলক করা যায়।
এদিন সকাল ৯টা ৫ মিনিটে চারুকলার সামনে থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়। শোভাযাত্রাটি শাহবাগ মোড় ঘুরে টিএসসি দিয়ে শহীদ মিনার হয়ে দোয়েল চত্বর দিয়ে বাংলা একাডেমির সামনে দিয়ে পুনরায় চারুকলায় গিয়ে শেষ হয়।
এতে অংশ নেয় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, ব্যান্ড দল, কৃষকদের একটি অংশ, রিকশা দল, ঘোড়ার গাড়ির দল। এছাড়াও সাঁওতাল, মারমা, গারো, খাসিয়া, তঞ্চঙ্গ্যাসহ ২৮টি জাতিগোষ্ঠী শোভাযাত্রায় অংশ নেয়।
শোভাযাত্রার একদম শুরুতে ছিল ডিএমপির অশ্বারোহী দল। এছাড়া র্যাব, পুলিশের সোয়াট টিম, প্রক্টরিয়াল টিম। এরপরে অংশ নেয় ২৮টি জাতিগোষ্ঠী, এরপরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বড় র্যালি। এরপর ফ্যাসিবাদের মোটিফসহ বড় ও মাঝারি সাইজের মোটিফগুলো ছিল। শেষে শতফুট দৈর্ঘ্যের লোকজ সংস্কৃতিকে ধারণ করে বানানো পটচিত্র স্থান পায় শোভাযাত্রায়।