ঢাকা থেকে অপহৃত মাদ্রাসা শিক্ষক রাজশাহীতে উদ্ধার

ঢাকার আশুলিয়া থেকে অপহৃত কওমী মাদ্রাসা শিক্ষক রিফাতুল ইসলামকে (২৫) রাজশাহী থেকে উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) একটি টিম। এ সময় চার অপহরণকারীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দিনগত মধ্যরাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে থেকে ওই মাদ্রাসা শিক্ষককে উদ্ধার করে র্যাব।
গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিরা হলেন- নাটোর সদর উপজেলার বড় হরিশপুর এলাকার আশরাফুল ইসলামের ছেলে রবিউল ইসলাম (২৭), একই এলাকার খোরশেদ চৌধুরীর ছেলে রুবেল চৌধুরী (২৭), পটুয়াখালীর দশমিনা এলাকার মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে নাজমুল হোসাইন (৪২) ও তার ভাই নাহিদ মিয়াজ (৩৫)।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে র্যাব-৫ এর উপ-অধিনায়ক মেজর আসিফ আল-রাজেক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
র্যাব জানায়, গত ৫ এপ্রিল ঢাকার আশুলিয়া থানাধীন ইউনিক বাসস্ট্যান্ড হতে অপহৃত হন রিফাতুল ইসলাম। ৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় অপহরণকারীরা তার বড় ভাই জুবায়ের মাহমুদের (৩০) মোবাইলে ফোন করে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। রিফাতুলের মা ঝর্ণা আক্তার বাধ্য হয়ে মোবাইল মানি ট্রান্সফারের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা পাঠান। পরে ঝর্ণা আক্তারের কাছে অপহরণকারীরা আরও এক লাখ টাকা দাবি করে। রিফাতুলের সঙ্গে কথা বলে তার মা রিফাতুলের ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে এক লাখ টাকা পাঠান। পরে আসামিরা আবারও ঝরনা আক্তারের কাছে এক লাখ টাকা দাবি করে। গত ১৪ এপ্রিল মানি ট্রন্সফারের মাধ্যমে আসামিদের কাছে আরও ৩০ হাজার টাকা পাঠান অপহৃত রিফাতুলের মা। কিন্তু পর দিন রাতে রিফাতুলের মায়ের কাছে ফোন করে আরও এক লাখ টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে তার ছেলেকে মারধরসহ হত্যারও হুমকি দেয় তারা।
পরে ঝর্ণা বেগম কোনো উপায় না পেয়ে র্যাব-৪ এর সিপিসি-২ বরাবর অপহরণের একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-৪ এর সাভার ক্যাম্পের গোয়েন্দা দল অভিযোগের ছায়াতদন্ত শুরু করে। ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারিতে র্যাব অপহরণকারীদের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-৪ এর সাভার ও র্যাব-৫ এর দল তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে থেকে অপহৃত রিফাতুলকে উদ্ধার করে। সেই সাথে অপহরণে জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করে।